আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিসুন্দর
গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজের
শ্রীব্যাসপূজা নিবেদন

(ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ রচিত, ১৯৯৭)

 

আপনাকে জানাই কোটি দণ্ডবতৎ নতি ।
চিরদিন ওই পদে থাকে যেন মতি ॥

মায়া পাশে যদি ফাঁসি যে কোন সময় ।
তরিবার লাগি যেন, ডাকি গো তোমায় ॥

সাধু, গুরু, বৈষ্ণবের গানে, সুখ পাই ।
যখন যা খুশী মনে, তখনি তা গাই ॥

পাপ পুণ্য লাভ ক্ষতি, নাহিক বিচার ।
জানি, বৈষ্ণব কৃপাতে সব যাবে অনাচার ॥

তাঁদের গুণগান-শক্তি, মোর কভু নাই ।
তবু পাগলের মত, কি যে যেন গাই ॥

সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, কৃষ্ণের প্রাণধন ।
তাঁদের পদ-জল-রেণু-মাগে মোর মন ॥

মনের পিপাসা বড় সাধু সনে বাস ।
সর্ব্বস্ব ত্যজিয়া তাই করি অভিলাষ ॥

তাঁদের চরণে কত কোটি পাপ করি ।
মন তবু পড়ে থাকে ওই পদ ধরি ॥

আরও কত বলে মন, কোটি দুঃখ সহি ।
জন্মে জন্মে যেন আমি, ওই পদে রহি ॥

হঠাৎ দেশে উঠল সারা, শহর থেকে সকল পাড়া,
বিচিত্র কুতূহলে ।
সকলে আজ আনন্দেতে, একত্রে সব উঠল মেতে,
নাচে গায় দলে দলে ॥

ভক্তগণ সব অবিরত, শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছে কত,
শ্রীমঠেতে আসি ।
গৌড় দেশের হৃদয় মাঝে, যেন সকল, দুপুর, সাঁজে,
বাজছে মোহন বাঁশী ॥

শুভ ১৮ ই ডিসেম্বর, কৃষ্ণ-দ্বিতীয়া বুদ্ধবার,
বর্দ্ধমানের আকাশ করি আলো ।
বামুন পাড়ার বামুন ঘরে, জনম নিলা জীবের তরে,
অপূর্ব্ব সুন্দর সিশু মোহনিয়া ভালো ॥

শ্রীতরঙ্গিণী দেবী মাতা, নিতাই পদ, নিত্য পিতা,
শ্রীদেবকী-বসুদেব সম ।
গুরু রূপে নন্দকুমার, যেন কৃপা করিলা এবার,
জীবের নাশিবে রজঃ তম ॥

সেই শিশু আজ মহাজন, ভক্তি সুন্দর গোবিন্দ ধন,
জগতের অনন্ত গৌরব ।
ব্রহ্মাণ্ড ভোদিয়া গোলোক ধাম, সর্ব্বত্র প্রকাশ তোমার নাম,
হে প্রভু, তব সেবা-সৌরভ ॥

তোমার কোমল মুরতি আজ, গাঁথা রয় যেন হৃদয় মাঝ,
চিন্তিব ও পদ নিতি ।
ভক্ত সজ্জন মিলে কত, মহিমা রচিবে শত শত,
কে কত গাহিবে তব গীতি ॥

পাইয়া তব শীতল চরণ, মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী করিবে বরণ,
পরাবে ফুলের মালা ।
জীবের লাগি ধরিলে কায়া, তোমার ভয়ে পালাবে মায়া,
জুড়াবে জগত জ্বালা ॥

রাজাসনের রাজা যেমন, তোমার শোভা আজকে তেমন,
রাজা মিছে, তুমি নিত্য সত্য ।
অগাধ তব শাস্ত্র জ্ঞানে, গোলোকের সেই নিত্য ধনে,
বিলাও ভরুক্ আর্ত্ত জীবের চিত্ত ॥

পরম্পরার সূত্র ধরে, আসিয়াছ মোদনী পরে,
প্রকাশিতে জীবোদ্ধার লীলা ।
কৃপার আধার গুরুমহারাজ, তোমাতে সর্ব্বশক্তি সঞ্চার,
করিয়া স্ব-সিংহাসন দিলা ॥

চির পঙ্কিল ধরণীতলে, শুদ্ধ ভকতি প্রকট করিলে—
যেন অপূর্ব্ব চিন্ময় সরোজ ।
তার সু-মধুর দিব্য গন্ধ, তোমার মাঝারে আঁকিছে ছন্দ,
বিলাবে সকলে প্রেম-বরজ ॥

তব কৃপাতরু-শীতল ছায়ায়, এ দুঃখীজন যেন ঠাঁই পায়,
ওহে দীনদয়াল ঠাকুর ।
তুমি নবোদিত নির্ম্মল ভাস্কর, দয়াময় দেব ভকতি সুন্দর,
ভাবিও তোমার কুকুর ॥

শ্রীভক্তিরক্ষক প্রভু শ্রীশ্রীধর, তোমাকে বানাল ভব কর্ণধার,
মো সম পতিত লাগি ।
তাই তব শুভ আবির্ভাব দিনে, গতি নাই ঐচরণ বিহনে,
এ পতিত কাঁদে কৃপা মাগী ॥

 


 

ফিরে গ্রন্থাগারে

 

বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥