আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

নিতাইয়ের চরণে চরম প্রাপ্তি

ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তি নির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের হরি-কথামৃত
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

 

শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী বলেছেন (চৈঃ চঃ, ১/৫/২০৫/২০৬),

জগাই মাধাই হৈতে মুঞি সে পাপিষ্ঠ ।
পুরীশের কীট হৈতে মুঞি সে লঘিষ্ঠ ॥
মোর নাম শুনে যেই তার পুণ্য ক্ষয় ।
মোর নাম লয় যেই তার পাপ হয় ॥

এমন পতিতকে উদ্ধার করবার জন্য এই নিত্যানন্দ বিনা জগতে মাঝারে আর কে আছে ? বলুন । এটা একমাত্র নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপায় সম্ভব । নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপাটা অবলম্বন করে (তাঁর চরণ বন্দনা করে) যদি আমরা হরিভজন করতে পারি তাহলে আমাদের পরমকল্যাণ বস্তু লাভ হয়ে যাবে । নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপা বিনা আমরা রাধাকৃষ্ণের পাদপদ্মের চিন্তা করতেই পারি না—শ্রীমতী রাধারাণীর চরণে আমরা প্রাপ্ত হতে পারব না ।

আমরা গুরুতত্ত্ব চাই—নিতাই বাদ দিয়ে গৌরাঙ্গ ভজলে বা গৌর বাদ দিয়ে নিতাই ভজলে হবে না । “যে গুরু বাদ দিয়ে গৌরাঙ্গ ভজে সেই পাপী রৌরবে পড়ে মজে ।” গুরু বাদ দিয়ে গৌরাঙ্গ ভজনা করলে হবে না—গুরুর ভজনা করতে ইবে ।

তাহলে, আপনারা সব সময় সেই গুরুদেবের চরণ-বন্দন করবেন । গুরুর আশ্রয় নিয়ে তাঁর চরণে প্রার্থনা ও তঁার কথামত ভজন করতে হবে । তিনি আমাদের মঙ্গল বুঝেন ।“কিসে ভাল হয় কভু না বুঝিনু” : আমার কিসের মঙ্গল হবে সেটা আমি বুঝতে পারি না, সেটা আমার গুরুদেব বুঝতে পারেন । সেইজন্য গুরুকে বাদ দিয়ে কিছু হয় না । গুরুদেব সব সময় আপনার মঙ্গল চিন্তা করবেন, “কি করে আপনি যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন ?” যাঁরা সেই চিন্তা করেন তাঁরাই সত্যিকারের গুরু । সেই গুরু গুরু নন যে আপনাকে মৃত্যুরূপ সংসার থেকে উদ্ধার করতে না পারেন, সেই গুরু কখনও গুরু হতে পারেন না ।

আমাদের চিন্তাধারার মূলই হচ্ছে নিত্যানন্দ প্রভু । তাঁকে কে বুঝতে পেরেছে ? তাঁকে কে জানতে পেরেছে ? নিত্যানন্দ যাঁকে কৃপা করেছেন, তিনি একমাত্র নিত্যানন্দকে জানতে পারবেন । সেই নিত্যানন্দ বিনা এই সংসারে আর কেউ নেই । “দয়াল নিতাই চৈতন্য ব’লে নাচ্­ রে আমার মন ।” কৃষ্ণনাম করলে অপরাধ হয় কিন্তু নিতাই চৈতন্যের নাম করলে অপরাধই হয় না—“অপরাধ দূরে যাবে পাবে প্রেম ধন !”

দয়াল নিতাই চৈতন্য বলে নাচ্­রে আমার মন ।
গৌর-কৃপা হলে হে
শেষে বৃন্দাবনে রাধাশ্যামের পাবে দরশন ॥

 


 

← গ্রন্থাগারে

অন্য রচনা:
শ্রীনৃসিংহদেবের কথা
দণ্ড মহৎসব
মায়ার চিন্তা বা কৃষ্ণের চিন্তা ?
আমাদের একমাত্র উপায়
ভক্তির অভাব
গৃহে আবদ্ধ
মায়ের পেট থেকে মায়ার পেটের মধ্যে
জীবকে সত্য দয়া কি ?
ভোগী নই ত্যাগীও নই
শ্রবণ-কীর্ত্তনে মতি
ভগবানের কৃপা ও আপনার চেষ্টা
শান্তির গুপ্ত কথা
পবিত্র জীবন
বামনদেবের কথা
ভক্ত ও নাপিত
ভগবানের চরণে পথ
পূজনীয় বিসর্জন
শিবজী মহারাজ : পরম বৈষ্ণব
শ্রীহরিনাম দীক্ষা : গুরুপাদপদ্মের দান
আমি তো সব ব্যবস্থা করি নাকি ?
চকচক করলেই সোনা হয় না
আমার শোচন

একমাত্র দয়াল সাগর
বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥