শ্রীগুরুপাদপদ্মের শেষ-কথা
(ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তি নির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের হরি-কথামৃত)
[২ মে ২০২১] "এটা যুদ্ধক্ষেত্র । আমরা যুদ্ধক্ষেত্র
থেকে কখনও পালিয়ে যাব না—আমরা দাঁড়িয়ে থাকব আর মায়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ।
সর্বত্রই দেখতে পাবেন যে, অসুররা সব সময় সাধুর দ্বারা পরাজিত হন । যেদিকে সাধু,
সেইদিকে সব সময় ওঁ থাকে । দয়া করে নিজেদের দেখাশোনা করুন । এই অবস্থায় সকলের
নিজেই সাধন করতে হয়, নিরুৎসাহিত হন না ।"
নিজের দীক্ষাগুরু যদি অপ্রকট হন, সে অবস্থায় সাধক-শিষ্যের কিভাবে সাধনপথে অগ্রসর
হতে হবে, এ সমস্যা সাধকজীবনে আসা স্বাভাবিক ।
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সবসময় অনুকূল থাকে না, সময়ে সময়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে
পারে । বিশেষত দীক্ষা গুরুদেব যদি হঠাৎ অপ্রকট হয়ে যান, তবে
শিষ্য-সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক । শিষ্যদের
মধ্যে বিবাদ ও সংঘাত দেখা যায় । ঐ প্রকার পরিস্থিতিতে ঐকান্তিক আগ্রহযুক্ত
সাধকশিষ্য যথেষ্ট বিবেচনা ধৈর্য্য ও ভজনানুকূল সূক্ষ্মবিচার বোধের দ্বারা
পরিচালিত না হলে বিপদ আছে । এটা ত’ একটা পরীক্ষার সময়, আত্মসমীক্ষ বা
আত্মনিক্ষেপের অবসর । আমরা এ যাবৎ শ্রীগুরুদেবের কাছ থেকে যে সমস্ত নির্দেশ
উপদেশ লাভ করেছি, তার যথার্থ মর্ম কতটা গ্রহণ করতে পেরেছি, তারই এটা পরিক্ষার
সময় । আমরা কেবল কতগুলি স্থূল আচার বিধি-নিষেধের মধ্যে নিজেকে চালিত করে
পরমার্থ সাধন হয়ে গেল, গুরুসেবা হয়ে গেল বলে নিশ্চিত থাকছি, না কৃষ্ণকৃপার জন্য
উত্তরোত্তর আন্তরিক আর্ত্তি, ব্যাকুলতা বৃদ্ধি হওয়ার সাধন করছি, তাঁর ও
শাস্ত্রের সদুপদেশগুলি নিজ আচরণে গ্রহণ করবার প্রয়াস করছি, তারই জমা খরচের হিসাব
নিকাশের সময়, এ সব বিচার করতে হবে । সৎ শিষ্য-সাধক ও শিষ্য-সাধক বেশধারী
কপট বৈষ্ণব ত’ এককথা নয়। গুরু ও শাস্ত্রের উপদেশ আমাদের অন্তরে কতটা গভীর
রেখাপাত করেছে, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার । আমরা প্রকৃত শিষ্যত্ব গ্রহণ
করেছি না শিষ্যের অভিনয় মাত্র করেছি, তার পরীক্ষার সময় ত’ এইটাই, এটা ত’ আগুন,
এই আগুনে নকল শিষ্য পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।
আর আসল শিষ্য আরও উজ্জ্বল হয়ে সকলের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে দাঁড়াবে ।
সুতরাং ঐ প্রকার বিড়ম্বিত পরিস্থিতিতে আমাদের ভত পাওয়ার কিছুই নাই । কৃষ্ণ
আবার গীতায় বলছেন, “সুখিনঃ ক্ষত্রিয়াঃ পার্থ লভন্তে যুদ্ধমীদৃশম্ ।” আনাড়ি
কর্মকার নিজ হাতিয়ার গুলির উপরও রাগ দেখায় । আমাদের কর্ম আমাদের সম্মুখে
উপস্থিত । আমাদের ঘিরে ফেলেছে । এই অসুবিধাগুলো ত’ আমাদের কর্মেরই
ফল । যা এড়ান যায় না তার মোকাবিলা করাই ত’ যথার্থ যোদ্ধার পরিচয় ।
এ প্রকার পরিস্থিতিতে আমাদের নিজের মধ্যে জিজ্ঞাসা হওয়া দরকার । আমি কোথায়
আছি ? আমার প্রকৃত প্রয়োজনটা কি ? বাস্তব বস্তু লাভের জন্য আমার কতটুকু আর্ত্তি
এসেছে ? এই সব প্রশ্নের মীমাংসা ত’ নিজের ভিতরেই করতে হবে । এইটাই ত’
প্রকৃত সাধনার বেলা । সাধনে প্রগতির প্রমাণই ত’ এইসব বাধা
বিপত্তি ।
আমাদের শোধন করে নির্মল করার জন্য এই প্রতিবন্ধকগুলির সার্থকতা আছে, তাই
এসেছে । পরীক্ষা না এলে প্রগতি বুঝা যায় না । আমরা এ যাবৎ প্রকৃত
শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছি, না লাভ পূজা প্রতিষ্ঠার জন্য শিষ্যত্বের অভিনয় মাত্র
করেছি, তার অগ্নিপরীক্ষা এসেছে, তাই সৎসাধকের, প্রকৃত শিষ্যের এতে ভয় হয় না, সে
আরও উৎসাহ ও নিশ্চয়তার সহিত ধৈর্য্যের সহিত সাধনে একনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা
করে ।
ভগবানের কোন ভুল হয় না । সমগ্র সৃষ্টিকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন । এটা
আমাদের দায়িত্ব নয় । আমি যদি নিষ্কপট হই তবে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইতে
চলতে হবে, আমরা প্রকৃত দেশপ্রেমী কি না তাত’ যুদ্ধক্ষেত্রেই পরীক্ষা হয় ।
আমি সাধু-গুরু, গৌর, কৃষ্ণ, রাধাগোবিন্দ, এঁদের শরণাগত । পরিস্থিতি যাই হোক
না কেন, আমি এঁদের ছেড়ে যাচ্ছি না । সকলেই আমাকে ত্যাগ করে চলে যেতে পারে,
আমি কিন্তু আমার নিষ্ঠায় শরণাগতিতে অবিচলিত থাকব । তা হলে গুরুবর্গ অদৃশ্য
থেকেই আমার উপর তাঁদের শুভাশীষের ধারা বর্ষণ করবেন ।
আমাদের নিজের আত্মসমীক্ষ করা দরকার যে আমরা কি পরিমাণে স্বার্থপর ? আমাদের মধ্যে
আমাদের পূর্ব অনভিপ্রেত খারাপ অভ্যাস বা “অনর্থ” এখনও কতটা আমাদের হৃদয়ে
থাকছে । কর্ম, জ্ঞান, মনের বাসনা এবং অন্যান্য অপবিত্র চিন্তা আমাদের মধ্যে
থেকে আমাদের ভক্তিপথের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের সঙ্গে কতটা মিশে রয়েছে ।
সেগুলি সবই বেরিয়ে আসা চাই এবং সেগুলি দূরীভূত হওয়া চাই । আমরা যদি সত্যিই
ভাল চাই, তা হলে কেউ তাতে বাধা দিতে পারে না । এই প্রকার মনোবৃত্তি নিয়ে
আমরা এগিয়ে গেলে তখন বুঝতে পারব কোনটা কি ?
(শ্রীল ভক্তি রক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ, শ্রীগুরুদেব ও তাঁর করুণা)
|
|
শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গৌ জয়তঃ
মাননীয় বৈষ্ণবগণ, ভক্তগণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ,
আপনাদের শ্রীচরণে দণ্ডবৎ প্রণাম জানাই ।
গভীর বেদনা ও দুঃখের সাথে আমরা সংবাদ দিতে বাধ্য যে, আমাদের প্রিয়তম
শ্রীগুরুপাদপদ্ম ওঁ বিষ্ণুপাদ জগদ্গুরু শ্রীল ভক্তি নির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ
তাঁর অচিন্ত্য লীলার দ্বারা শ্রীমধুসূদন মাসের শ্রীকৃষ্ণ-চতুর্দ্দশীর তিথিকে (১০
মে ২০২১) অলঙ্কৃত করে এই দিনটা অবলম্বন করেছেন এই পৃথিবী থেকে অপ্রকট হয়ে
যাওয়ার জন্য । হাসপাতালে চিকিত্সা পাওয়ার সময় শ্রীগুরুপাদপদ্ম ভোর বেলায়
৪টা সময় শান্তিপূর্ণভাবে তাঁর প্রকটলীলা সমপ্ত করে দিয়ে তাঁর অপ্রকট নিত্যলীলা
প্রবেশ করেছেন । শ্রীগুরুপাদপদ্মের শ্রীনিত্যদেহ তাঁর প্রিয় ধাম
শ্রীএকচক্রায় পৌছে দেওয়ার পর তাঁর সমাধি ব্যবস্থা করা হল ।
দয়া করে আপনারা নিজেদের ও পরস্পরের দেখাশোনা করুন এবং যেকোন ভাব নিজেদের
মধ্যে শক্ত সংগ্রহ করুন এই বিপর্যয় ও বেদনাদায়ক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এবং
দয়া করে পরস্পরকে সহায়তা করতে চেষ্টা করুন যেন, আমরা সকলই মিলে এই করুণ অবস্থার
মধ্যে জীবন চলতে পারব—এই প্রার্থনা আমরা শ্রীচৈতন্যসারস্বত মঠের সমস্ত ভক্তগণের
শ্রীচরণে ভিক্ষা করছি ।
বিণীত—
শ্রীগুরুপাদপদ্মের scsmathinternational.com-এর পক্ষে
“যাঁরা সাহায্য করছেন এবং আমার গুরুমহারাজকে সহায়তা করছেন, যাঁরা গুরুমহারাজের
মঠগুলির সেবা করছেন, তাঁদের আমি বলছি যে, আমি চিরকাল ধরে আপনাদের পাশেই থাকব,
আমি সব সময় আপনাদের পাশেই থাকি—যেখানে আমি যাব, যেখানে আমি আছি, আমি সবাইকে
সঙ্গে নিয়ে যাব । যদিও মরে যাব, তবুও আমি আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে
যাব । কত দিন ধরে আমি এই পৃথিবীতে থাকব, সেটা আমি জানি না—কত দিন ধরে
আপনারাও এই পৃথিবীতে থাকবেন, সেটা আপনারাও জানেন না, কিন্তু আমি সব সময় আপনাদের
সঙ্গেই থাকব, আমি চিরকাল ধরে আপনাদের দেকাশোনা করব ।”
(শ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের মুখনিঃসৃত হরিকথামৃত বাণী)
|
|
|
অসৎসঙ্গ ও নিত্য
স্মরণ
|
'দিন, রত্র, সব সময় হরিভজন করবেন । সর্ব্বাঙ্গ দিয়ে ভগবানের সেবা করবেন—দেহ, মন,
বুদ্ধি, অহঙ্কার, যা কিছু আছে সমস্ত কিছু ভগবানের চরণে সমর্পণ করতে হবে । সমস্ত
দুঃখ, জ্বালা, যন্ত্রনা, যা কিছু থাকবে, সব কিছু ভগবানের চরণে ছুড়ে দিতে
হবে ।'
|

শ্রীগৌড়ীয়-পর্ব্ব-তালিকা
জ্যৈষ্ঠ মাস—৩১ দিন
ত্রিবিক্রম মাস
মে মাস
১৪ ত্রিবিক্রম, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ৩০ মে, সোমবার, অমাবস্যা ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৪ ।
১৫ ত্রিবিক্রম, ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ৩১ মে, মঙ্গলবার, গৌর-প্রতিপদ ।
শ্রীচৈতন্য-সারস্বত কৃষ্ণানুশীলন সঙ্ঘের শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গ-রাধা-মদনমোহন জীউর প্রাকট্য মহোৎসব (দম দম পর্ক, কলকাতায়) ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৪ ।
জুন মাস
১৮ ত্রিবিক্রম, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ৩ জুন, শুক্রবার, গৌর-চতুর্থী ।
শ্রীপাদ ভক্তিগৌরব গিরি মহারাজ (শ্রীপাদ পরমানন্দ বিদ্যারত্ন প্রভু) তিরোভাব ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৫ ।
২৪ ত্রিবিক্রম, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ৯ জুন, বৃহস্পতিবার, গৌর-দশমী ।
দশহরা, শ্রীগঙ্গাপূজা ।
শ্রীগঙ্গামাতা গোস্বামিনীর আবির্ভাব ।
শ্রীল বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভুর তিরোভাব ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৮ ।
২৫ ত্রিবিক্রম, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১০ জুন, শুক্রবার, গৌর-একাদশী ।
নির্জ্জলা একাদশী ব্রতের উপবাস ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৮ ।
২৬ ত্রিবিক্রম, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১১ জুন, শনিবার, গৌর-দ্বাদশী ।
একাদশী পারণ : ৭।০৭–৭।২৩ ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৮ ।
২৭ ত্রিবিক্রম, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১২ জুন, রবিবার, গৌর-ত্রয়োদশী ।
শ্রীপাট পানিহাটিতে শ্রীল রঘুনাথ দাস গোস্বামীর প্রদত্ত দণ্ড মহোৎসব ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।১৯ ।
২৮ ত্রিবিক্রম, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৩ জুন, সোমবার, গৌর-চতুর্দ্দশী ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।১৯ ।
২৯ ত্রিবিক্রম, ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪ জুন, মঙ্গলবার, পূর্ণিমা ।
শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের স্নান যাত্রা ।
শ্রীল মুকুন্দ দত্ত ও শ্রীল শ্রীধর পণ্ডিতের তিরোভাব ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।২০ ।
বামন মাস
১ বামন, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৫ জুন, বুধবার, কৃষ্ণ-প্রতিপদ ।
শ্রীল শ্যামানন্দ প্রভুর তিরোভাব ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।২০ ।
আষাঢ় মাস—৩২ দিন
২ বামন, ১ আষাঢ়, ১৬ জুন, বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণ-দ্বিতীয়া ।
শ্রীগৌরহরি ভক্তিসম্পদ প্রভুর নির্য্যাণ ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।২০ ।
৫ বামন, ৪ আষাঢ়, ১৯ জুন, রবিবার, কৃষ্ণ-পঞ্চমী ।
শ্রীল বক্রেশ্বর পণ্ডিতের আবির্ভাব ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।২২ ।
৮ বামন, ৭ আষাঢ়, ২২ জুন, বুধবার, কৃষ্ণ-নবমী ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।২৩ ।
৯ বামন, ৮ আষাঢ়, ২৩ জুন, বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণ-দশমী ।
উঃ ৪।৫৫ অঃ ৬।২৪ ।
১০ বামন, ৯ আষাঢ়, ২৪ জুন, শুক্রবার, কৃষ্ণ-একাদশী ।
যোগিনী একাদশী ব্রতের উপবাস ।
শ্রীযুক্তা রমাদেবীর নির্য্যাণ ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।২৪ ।
১১ বামন, ১০ আষাঢ়, ২৫ জুন, শনিবার, কৃষ্ণ-দ্বাদশী ।
একাদশী পারণ : ৭।২৪–৯।২৬ ।
উঃ ৪।৫৬ অঃ ৬।২৪ ।
১২ বামন, ১১ আষাঢ়, ২৬ জুন, রবিবার, কৃষ্ণ-ত্রয়োশী ।
উঃ ৪।৫৭ অঃ ৬।২৩ ।
১৪ বামন, ১৩ আষাঢ়, ২৮ জুন, মঙ্গলবার, কৃষ্ণ-চতুর্দ্দশী ।
উঃ ৪।৫৭ অঃ ৬।২৩ ।
১৫ বামন, ১৪ আষাঢ়, ২৯ জুন, বুধবার, অমাবস্যা ।
শ্রীল গদাধর পণ্ডিত গোস্বামীর ও শ্রীল সচ্চিদানন্দ ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের
তিরোভাব ।
উঃ ৪।৫৮ অঃ ৬।২৩ ।
১৬ বামন, ১৫ আষাঢ়, ৩০ জুন, বৃহস্পতিবার, গৌর-প্রতিপদ ।
শ্রীগুণ্ডিচা মার্জ্জন ।
উঃ ৪।৫৮ অঃ ৬।২৩ ।

|