আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

১২ গোবিন্দ, ২৩ ফাল্গুন, ৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার
শ্রীগৌড়ীয়-পর্ব্ব-তালিকা (১৪৩০–১৪৩১)
"যে বৈষ্ণব পঞ্জিকায় উল্লেখ হয় তাঁর সম্বন্ধে কিছু না জানলেও তাঁকে তাঁর তীথিতে ‘জয়’ দেবেন । আমাদের সব সময় সমস্ত বৈষ্ণবগণের তিরোভাব ও আবির্ভাব তিথি স্মরণ করতে হবে । ওই পরম বৈষ্ণবগণকে, মহাপুরুষগণকে স্মরণ করা আমাদের পরমার্থিক জীবনে মঙ্গল আনবে ।"

 

৫ নারায়ণ, ১৪ পৌষ, ৩১ ডিসেম্বর, রবিবার
শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকট-কালীন আশীর্ব্বাণী
"আমি বহু লোককে উদ্বেগ দিয়েছি, অকৈতব সত্য কথা বলতে বাধ্য হয়েছি বলে, নিষ্কপটে হরি-ভজন করতে বলেছি বলে অনেক লোক হয় ত’ আমাকে শত্রুও মনে করেছেন । অন্যাভিলাষ ও কপটতা ছেড়ে নিষ্কপটে কৃষ্ণ-সেবায় উন্মুখ হবার জন্যই আমি অনেক লোককে নানাপ্রকার উদ্বেগ দিয়েছি । এ কথা তাঁ’রা কোনও না কোনও দিন বুঝতে পারবেন ।"

 

৪ নারায়ণ, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১২ ডিসেম্বর
গৌড়ীয়ে প্রীতি (ভগবান ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের হরি-কথামৃত)
"গৌড়ীয় ভাষার পাঠক, গৌড়-দেশের অধিবাসি, তোমাদিগের আচার, ব্যবহার, ভাষা, রুচি, নীতি ও ধর্ম্মবিশ্বাস গৌড়ীয়ের মত হওয়াই প্রার্থনীয় । তোমাদের গৌড়ীয় পরিচয়ে যাহা কিছু অগৌড়ীয়ের মত আছে বা হ’তে চলিয়াছে, তাহা ক্রমশঃ পরিহার করিয়া গৌড়ীয়ের আদর্শ সমগ্রজগতের দেখ্­বার মত কর ।"

 


শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠের সম্পর্কে

শ্রীচৈতন্য সারস্বত মঠ কি ও তাঁর বৈশিষ্ট্য
শ্রীচৈতন্য সারস্বত মঠ কি ও তাঁর উদ্দেশ্য, প্রচার্য্য-বিষয় বা বৈশিষ্ট্যের কথা জগতে বোঝাইতে হইলে যেরূপ সুদুরূহ ব্যাপার, প্রচলিত ভাব-ধারায় বিভাবিত ও অনুপ্রাণিত বিশ্বের তাহা আংশিকভাবে উপলব্ধি করাইবার চেষ্টাও ততোধিক গুরুতর কার্য্য । কিন্তু এই মঠের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেব গোস্বামী মহারাজ ও তাঁর স্থলাভিষিক্ত সেবাইত আচার্য্য ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেব গোস্বামী মহারাজ ও তাঁর মনোনীত বর্তমান সভাপতি আচার্য্য ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তি নির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের পথ অনুসরণ করে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা শুদ্ধভাবে আচার-প্রচারের মাধ্যমে ভারতসহ সারা পৃথিবীতে বদ্ধ জীবকে উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন ।

 

শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠের বই ও প্রবন্ধ

"আপনারা সব সময় ভগবৎ-কীর্তন, ভগবৎ-কথা শ্রবণ-কীর্তন করবেন । আমরা গুরুদেবকে কোথায় পাব ? গুরুদেব ত’ চলে গিয়েছেন । তবু আমরা গুরুদেবের গ্রন্থ পড়ে গুরুদেবের সঙ্গ লাভ করতে পারি । আমি যখন এখান থেকে চলে যাব, আপনারা কোথায় সঙ্গ লাভ করবেন ? আমার গ্রন্থগুলো আছে—এই গ্রন্থগুলো পড়ে প্রত্যেক দিন গুরুদেবকে দর্শন করতে পারবেন এবং গুরুদেবের সঙ্গ লাভ করতে পারবেন ।"

“যে আমাদের গুরুদেব সমস্ত পৃথিবীতে বলে দিয়েছেন, যে তিনি আমাদের জন্য রেখে দিয়েছেন (তাঁর বইগুলো, তাঁর অডিও- ও ভিডিও-বক্তৃতাগুলো), সেটাকে আমাদের অপরকে বিতরণ করতে হবে । যে আমরা বানান বা আবিষ্কার করি, সেটাকে বিতরণ করা উচিৎ নয় । যে গুরুদেব বানান বা আবিষ্কার করেছেন, সেটাকে বিতরণ করুন—সেটাই যথেষ্ট, সেটা করলে জগতের জীবগুল মঙ্গল লাভ করতে পারে ।”

“আমাদের এতগুলো বই আছে কিন্তু আমরা পড়ি না । আমরা বইগুলো ছাপিয়েছি পেপার প্লেট বা চানাচুর-সিঙ্গারার ঠোঙার জন্য নয় ! যখন সময় পান, ওই বইগুলো পড়ুন । সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।”

“আমরা বড় বা ঐশ্বর্যবান হতে চাই না, আমরা অনুকরণকারী হতে চাই না—আমরা আসল জিনিস চাই । সেইজন্য আপনাদের ধারণাটা বুঝতে হবে । শ্রীলশ্রীধর মহারাজ ও শ্রীলগুরুদেবের বইগুলো পড়তে হবে, তাহলে আপনারা কিছু বুঝতে পারবেন । আমি অনেক সময় বলেছি—যখন সময় পান, পড়ুন । গ্রান্থ পড়তে পড়তে আসল ধারণাটা কী সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন ।”

“শ্রীলশ্রীধর মহারাজ ও শ্রীলগুরুদেবের অনেক বইগুলো আছে—আমাদের শিক্ষা বা ধারণাটা তাদের মধে রাখা হয় । তাই আপনাদের আসল খাদ্যটা আছে ।”

“গুরু সব সময় আমাদের পাশেই থাকেন, তিনি আমাদের সব সময় উপদেশ দেন । তাঁর উপদেশ, তাঁর কথা স্মরণ করলে, তাঁর বইগুলো পড়লে, তা দ্বারা আমরা সব সময় তাঁর সঙ্গ লাভ করতে পারি । আপনারা সেতা সহজে বুঝতে পারেন ।”

“যখন সময় পান, গুরুদেবের বইগুলো পড়ুন । যদি ভাবেন, 'বই পড়ে কোন রুচি পাই না' তাহলে বুঝতে পারেন যে, ভিতরে আপনাদের হৃদয়ের মধ্যে অপরাধের বীজ রয়েছে ।”

(ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের মুখনিঃসৃত হরিকথামৃত বাণী)

 

ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীলভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ
  
ভগবান্ শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদ শ্রীল সচ্চিদানন্দ ভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাশয় অন্যান্য গ্রন্থপ্রকাশ

 


 

শ্রীগুরুপাদপদ্মের শেষ-কথা (ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তি নির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের হরি-কথামৃত)
[২ মে ২০২১] "এটা যুদ্ধক্ষেত্র । আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কখনও পালিয়ে যাব না—আমরা দাঁড়িয়ে থাকব আর মায়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব । সর্বত্রই দেখতে পাবেন যে, অসুররা সব সময় সাধুর দ্বারা পরাজিত হন । যেদিকে সাধু, সেইদিকে সব সময় ওঁ থাকে । দয়া করে নিজেদের দেখাশোনা করুন । এই অবস্থায় সকলের নিজেই সাধন করতে হয়, নিরুৎসাহিত হন না ।"

 

নিজের দীক্ষাগুরু যদি অপ্রকট হন, সে অবস্থায় সাধক-শিষ্যের কিভাবে সাধনপথে অগ্রসর হতে হবে, এ সমস্যা সাধকজীবনে আসা স্বাভাবিক ।

পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সবসময় অনুকূল থাকে না, সময়ে সময়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে । বিশেষত দীক্ষা গুরুদেব যদি হঠাৎ অপ্রকট হয়ে যান, তবে শিষ্য-সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক । শিষ্যদের মধ্যে বিবাদ ও সংঘাত দেখা যায় । ঐ প্রকার পরিস্থিতিতে ঐকান্তিক আগ্রহযুক্ত সাধকশিষ্য যথেষ্ট বিবেচনা ধৈর্য্য ও ভজনানুকূল সূক্ষ্মবিচার বোধের দ্বারা পরিচালিত না হলে বিপদ আছে । এটা ত’ একটা পরীক্ষার সময়, আত্মসমীক্ষ বা আত্মনিক্ষেপের অবসর । আমরা এ যাবৎ শ্রীগুরুদেবের কাছ থেকে যে সমস্ত নির্দেশ উপদেশ লাভ করেছি, তার যথার্থ মর্ম কতটা গ্রহণ করতে পেরেছি, তারই এটা পরিক্ষার সময় । আমরা কেবল কতগুলি স্থূল আচার বিধি-নিষেধের মধ্যে নিজেকে চালিত করে পরমার্থ সাধন হয়ে গেল, গুরুসেবা হয়ে গেল বলে নিশ্চিত থাকছি, না কৃষ্ণকৃপার জন্য উত্তরোত্তর আন্তরিক আর্ত্তি, ব্যাকুলতা বৃদ্ধি হওয়ার সাধন করছি, তাঁর ও শাস্ত্রের সদুপদেশগুলি নিজ আচরণে গ্রহণ করবার প্রয়াস করছি, তারই জমা খরচের হিসাব নিকাশের সময়, এ সব বিচার করতে হবে । সৎ শিষ্য-সাধক ও শিষ্য-সাধক বেশধারী কপট বৈষ্ণব ত’ এককথা নয়। গুরু ও শাস্ত্রের উপদেশ আমাদের অন্তরে কতটা গভীর রেখাপাত করেছে, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার । আমরা প্রকৃত শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছি না শিষ্যের অভিনয় মাত্র করেছি, তার পরীক্ষার সময় ত’ এইটাই, এটা ত’ আগুন, এই আগুনে নকল শিষ্য পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।

আর আসল শিষ্য আরও উজ্জ্বল হয়ে সকলের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে দাঁড়াবে ।

সুতরাং ঐ প্রকার বিড়ম্বিত পরিস্থিতিতে আমাদের ভত পাওয়ার কিছুই নাই । কৃষ্ণ আবার গীতায় বলছেন, “সুখিনঃ ক্ষত্রিয়াঃ পার্থ লভন্তে যুদ্ধমীদৃশম্ ।” আনাড়ি কর্মকার নিজ হাতিয়ার গুলির উপরও রাগ দেখায় । আমাদের কর্ম আমাদের সম্মুখে উপস্থিত । আমাদের ঘিরে ফেলেছে । এই অসুবিধাগুলো ত’ আমাদের কর্মেরই ফল । যা এড়ান যায় না তার মোকাবিলা করাই ত’ যথার্থ যোদ্ধার পরিচয় ।

এ প্রকার পরিস্থিতিতে আমাদের নিজের মধ্যে জিজ্ঞাসা হওয়া দরকার । আমি কোথায় আছি ? আমার প্রকৃত প্রয়োজনটা কি ? বাস্তব বস্তু লাভের জন্য আমার কতটুকু আর্ত্তি এসেছে ? এই সব প্রশ্নের মীমাংসা ত’ নিজের ভিতরেই করতে হবে । এইটাই ত’ প্রকৃত সাধনার বেলা । সাধনে প্রগতির প্রমাণই ত’ এইসব বাধা বিপত্তি ।

আমাদের শোধন করে নির্মল করার জন্য এই প্রতিবন্ধকগুলির সার্থকতা আছে, তাই এসেছে । পরীক্ষা না এলে প্রগতি বুঝা যায় না । আমরা এ যাবৎ প্রকৃত শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছি, না লাভ পূজা প্রতিষ্ঠার জন্য শিষ্যত্বের অভিনয় মাত্র করেছি, তার অগ্নিপরীক্ষা এসেছে, তাই সৎসাধকের, প্রকৃত শিষ্যের এতে ভয় হয় না, সে আরও উৎসাহ ও নিশ্চয়তার সহিত ধৈর্য্যের সহিত সাধনে একনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে ।

ভগবানের কোন ভুল হয় না । সমগ্র সৃষ্টিকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন । এটা আমাদের দায়িত্ব নয় । আমি যদি নিষ্কপট হই তবে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইতে চলতে হবে, আমরা প্রকৃত দেশপ্রেমী কি না তাত’ যুদ্ধক্ষেত্রেই পরীক্ষা হয় । আমি সাধু-গুরু, গৌর, কৃষ্ণ, রাধাগোবিন্দ, এঁদের শরণাগত । পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি এঁদের ছেড়ে যাচ্ছি না । সকলেই আমাকে ত্যাগ করে চলে যেতে পারে, আমি কিন্তু আমার নিষ্ঠায় শরণাগতিতে অবিচলিত থাকব । তা হলে গুরুবর্গ অদৃশ্য থেকেই আমার উপর তাঁদের শুভাশীষের ধারা বর্ষণ করবেন ।

আমাদের নিজের আত্মসমীক্ষ করা দরকার যে আমরা কি পরিমাণে স্বার্থপর ? আমাদের মধ্যে আমাদের পূর্ব অনভিপ্রেত খারাপ অভ্যাস বা “অনর্থ” এখনও কতটা আমাদের হৃদয়ে থাকছে । কর্ম, জ্ঞান, মনের বাসনা এবং অন্যান্য অপবিত্র চিন্তা আমাদের মধ্যে থেকে আমাদের ভক্তিপথের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের সঙ্গে কতটা মিশে রয়েছে । সেগুলি সবই বেরিয়ে আসা চাই এবং সেগুলি দূরীভূত হওয়া চাই । আমরা যদি সত্যিই ভাল চাই, তা হলে কেউ তাতে বাধা দিতে পারে না । এই প্রকার মনোবৃত্তি নিয়ে আমরা এগিয়ে গেলে তখন বুঝতে পারব কোনটা কি ?

(শ্রীল ভক্তি রক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ, শ্রীগুরুদেব ও তাঁর করুণা)

 

শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গৌ জয়তঃ

মাননীয় বৈষ্ণবগণ, ভক্তগণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ,

আপনাদের শ্রীচরণে দণ্ডবৎ প্রণাম জানাই ।

গভীর বেদনা ও দুঃখের সাথে আমরা সংবাদ দিতে বাধ্য যে, আমাদের প্রিয়তম শ্রীগুরুপাদপদ্ম ওঁ বিষ্ণুপাদ জগদ্­গুরু শ্রীল ভক্তি নির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ তাঁর অচিন্ত্য লীলার দ্বারা শ্রীমধুসূদন মাসের শ্রীকৃষ্ণ-চতুর্দ্দশীর তিথিকে (১০ মে ২০২১) অলঙ্কৃত করে এই দিনটা অবলম্বন করেছেন এই পৃথিবী থেকে অপ্রকট হয়ে যাওয়ার জন্য । হাসপাতালে চিকিত্সা পাওয়ার সময় শ্রীগুরুপাদপদ্ম ভোর বেলায় ৪টা সময় শান্তিপূর্ণভাবে তাঁর প্রকটলীলা সমপ্ত করে দিয়ে তাঁর অপ্রকট নিত্যলীলা প্রবেশ করেছেন । শ্রীগুরুপাদপদ্মের শ্রীনিত্যদেহ তাঁর প্রিয় ধাম শ্রীএকচক্রায় পৌছে দেওয়ার পর তাঁর সমাধি ব্যবস্থা করা হল ।

দয়া করে আপনারা নিজেদের ও পরস্পরের দেখাশোনা করুন এবং যেকোন ভাব নিজেদের মধ্যে শক্ত সংগ্রহ করুন এই বিপর্যয় ­ও বেদনাদায়ক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এবং দয়া করে পরস্পরকে সহায়তা করতে চেষ্টা করুন যেন, আমরা সকলই মিলে এই করুণ অবস্থার মধ্যে জীবন চলতে পারব—এই প্রার্থনা আমরা শ্রীচৈতন্যসারস্বত মঠের সমস্ত ভক্তগণের শ্রীচরণে ভিক্ষা করছি ।

বিণীত—
শ্রীগুরুপাদপদ্মের scsmathinternational.com-এর পক্ষে

 

“যাঁরা সাহায্য করছেন এবং আমার গুরুমহারাজকে সহায়তা করছেন, যাঁরা গুরুমহারাজের মঠগুলির সেবা করছেন, তাঁদের আমি বলছি যে, আমি চিরকাল ধরে আপনাদের পাশেই থাকব, আমি সব সময় আপনাদের পাশেই থাকি—যেখানে আমি যাব, যেখানে আমি আছি, আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাব । যদিও মরে যাব, তবুও আমি আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাব । কত দিন ধরে আমি এই পৃথিবীতে থাকব, সেটা আমি জানি না—কত দিন ধরে আপনারাও এই পৃথিবীতে থাকবেন, সেটা আপনারাও জানেন না, কিন্তু আমি সব সময় আপনাদের সঙ্গেই থাকব, আমি চিরকাল ধরে আপনাদের দেকাশোনা করব ।”

(শ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের মুখনিঃসৃত হরিকথামৃত বাণী)

 

 

 

 

 

কবে আমি পাইব বৈষ্ণব-পদছায়া ?
'আর কত দিন আপনারা থাকবেন এই জগতে ? এক্ষুণইও চলে যেতে পারি । এই মুহুর্তেও আপনাদেরকে গঙ্গার ধারে নিয়ে যাওয়া হতে পারে, কিন্তু আপনারা হরিভজন করলেন না, ভগবানকে ডাকতে পারলেন না । যখন সময় আসবে, তখন সবাইকে জবাব দিতে হবে—কী জবাব দেবেন তখন ?'

      

শ্রীগৌড়ীয়-পর্ব্ব-তালিকা

আশ্বিন মাস—৩০ দিন

পদ্মনাভ মাস—২৯ দিন

(অক্টোবর মাস—৩১ দিন)

১৮ পদ্মনাভ, ১৯ আশ্বিন, ৬ অক্টোবর, রবিবার, গৌর চতুর্থী অহোরাত্র । ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীপাদ ভক্তিদয়িত দামোদর মহারাজের তিরোভাব । উঃ ৫।৩২।২৫, অঃ ৫।১৭।১৬ ।

২২ পদ্মনাভ, ২৩ আশ্বিন, ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, গৌর সপ্তমী দিবা ৭।২৩।৫৭ । শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা । উঃ ৫।৩৪।৩, অঃ ৫।১৩।২৩ ।

২৪ পদ্মনাভ, ২৫ আশ্বিন, ১২ অক্টোবর, শনিবার, গৌর নবমী প্রাতঃ ৫।৪২।৫০ পরে গৌর দশমী শেষরাত্রি ৪।১৩।২৯ । শ্রীরামচন্দ্রের বিজয়োৎসব ও শ্রীমধ্বাচার্য্যেরের আবির্ভাব । উঃ ৫।৩৪।৫৫, অঃ ৫।১১।২০ ।

২৫ পদ্মনাভ, ২৬ আশ্বিন, ১৩ অক্টোবর, রবিবার, গৌর একাদশী রাত্রি ২।২৪।৫৭ । অদ্য দশমী বিদ্ধা হওয়ায় একাদশী ব্রতের উপবাস নহে । একাদশ্যারম্ভ পক্ষে ঊর্জ্জব্রত, দামোদর-ব্রত, কার্ত্তিক-ব্রত বা নিয়ম-সেবা অরম্ভ । উঃ ৫।৩৫।২১, অঃ ৫।১০।৩৩ ।

২৬ পদ্মনাভ, ২৭ আশ্বিন, ১৪ অক্টোবর, সোমবার, গৌর দ্বাদশী রাত্রি ১২।২০।৫০ । পাপাঙ্কুশা একাদশী ব্রতের উপবাস । শ্রীল রঘুনাথ দাস গোস্বামী, শ্রীল রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী ও শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর তিরোভাব । উঃ ৫।৩৫।৪৮, অঃ ৫।৯।৩৭ ।

২৭ পদ্মনাভ, ২৮ আশ্বিন, ১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার, গৌর ত্রয়োদশী রাত্রি ১০।৫।২৩ । প্রাতঃ ৫।৩৬।১৭ গতে পূর্ব্বাহ্ন ৯।২৭।৫ মধ্যে একাদশীর পারণ । উঃ ৫।৩৬।১৭, অঃ ৫।৮।৪৪ ।

২৮ পদ্মনাভ, ২৯ আশ্বিন, ১৬ অক্টোবর, বুধবার, গৌর চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭।৪২।৪৮ । উঃ ৫।৩৬।৪৫, অঃ ৫।৭।৪৯ ।

২৯ পদ্মনাভ, ৩০ আশ্বিন, ১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫।১৭।৪৯ । শ্রীকৃষ্ণের শারদীয়া রাসযাত্রা । শ্রীল মুরারী গুপ্তের তিরোভাব । পৌর্ণমাস্যারম্ভ পক্ষে ঊর্জ্জব্রত, দামোদর-ব্রত, কার্ত্তিক-ব্রত বা নিয়ম-সেবা অরম্ভ । পূর্ণিমার উপবাস । উঃ ৫।৩৭।১৪, অঃ ৫।৬।৫৫ ।

 


কার্ত্তিক মাস—৩০ দিন

দামোদর মাস—২৯ দিন

৩ দামোদর, ৩ কার্ত্তিক, ২০ অক্টোবর, রবিবার, কৃষ্ণ তৃতীয়া দিবা ১০।৪১।৩৪ । ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিশ্রীরূপ পুরী মহারাজের তিরোভাব । উঃ ৫।৩৮।৪৪, অঃ ৫।৪।১৭ ।

৫ দামোদর, ৫ কার্ত্তিক, ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার, কৃষ্ণ পঞ্চমী দিবা ৭।৩৩।২৯ । শ্রীল নরোত্তম ঠাকুরের তিরোভাব । উঃ ৫।৩৯।৪৭, অঃ ৫।২।৩৫ ।

৬ দামোদর, ৬ কার্ত্তিক, ২৩ অক্টোবর, বুধবার, কৃষ্ণ ষষ্ঠী দিবা ৬।৩৫।১১ । শ্রীল ভক্তিবিচার যাযাবর মহারাজের তিরোভাব । উঃ ৫।৪০।২০, অঃ ৫।১।৪৫ ।

৮ দামোদর, ৮ কার্ত্তিক, ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার, কৃষ্ণ অষ্টমী প্রাতঃ ৬।৫।৫৭ । বহুলাষ্টমী । শ্রীরাধাকুণ্ডে স্নানদানাদি মহোৎসব । শ্রীরাধাকুণ্ড প্রাকট্য তিথি । উঃ ৫।৪১।২৬, অঃ ৫।০।৬ ।

৯ দামোদর, ৯ কার্ত্তিক, ২৬ অক্টোবর, শনিবার, কৃষ্ণ নবমী দিবা ৬।৩৭।৭ । শ্রীল বীরচন্দ্র প্রভুর আবির্ভাব । ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য্যবর্য্য অষ্টোত্তরশতশ্রী শ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেব-গোস্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব মহামহোৎসব । শ্রীপাদ সখীচরণ দাস বাবাজী মহারাজের তিরোভাব । উঃ ৫।৪১।৫৩, অঃ ৪।৫৯।২৭ ।

১০ দামোদর, ১০ কার্ত্তিক, ২৭ অক্টোবর, রবিবার, কৃষ্ণ দশমী দিবা ৭।৩৮।৫২ । উঃ ৫।৪২।১৯, অঃ ৪।৫৮।৪৭ ।

১১ দামোদর, ১১ কার্ত্তিক, ২৮ অক্টোবর, সোমবার, কৃষ্ণ একাদশী দিবা ৯।৭।১৬ । শ্রীরমা একাদশী ব্রতের উপবাস । উঃ ৫।৪২।৪৭, অঃ ৪।৫৮।৯ ।

১২ দামোদর, ১২ কার্ত্তিক, ২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার, কৃষ্ণ দ্বাদশী দিবা ১০।৫৬।২১ । প্রাতঃ ৫।৪৩।১৬ গতে পূর্ব্বাহ্ন ৯।২৮।২ একাদশীর পারণ । শ্রীপাট পাণিহাটিতে শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শুভ বিজয় । উঃ ৫।৪৩।১৬, অঃ ৪।৫৭।৩২ ।

১৪ দামোদর, ১৪ কার্ত্তিক, ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণ চতুর্দ্দশী দিবা ৩।৭।৫৪ । শ্রীবিষ্ণুমন্দিরে চতুর্দ্দশ দীপদান । উঃ ৫।৪৪।১৫, অঃ ৪।৫৬।১৮ ।

(নভেম্বর মাস—৩০ দিন)

১৫ দামোদর, ১৫ কার্ত্তিক, ১ নভেম্বর, শুক্রবার, অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫।৮।২০ । দীপান্বিতা, শ্রীবিষ্ণুমন্দির দীপদান । উঃ ৫।৪৪।৪৭, অঃ ৪।৫৫।৪৪ ।

১৬ দামোদর, ১৬ কার্ত্তিক, ২ নভেম্বর, শনিবার, গৌর প্রতিপদ রাত্রি ৬।৫৩।৩৫ । পূর্ব্বাহ্নে শ্রীশ্রীগোবর্দ্ধনপূজা । শ্রীগোবর্দ্ধনস্থ শ্রীল শ্রীধর স্বামী সেবাশ্রমে ও শ্রীগুপ্তগোবর্দ্ধন শ্রীমন্দিরে বিপুলভাবে অন্নকূট মহোৎসব । গোপূজা ও গোক্রীড়া । শ্রীবলি-দৈত্যরাজ-পূজা । উঃ ৫।৪৫।১৯, অঃ ৪।৫৫।১০ ।

১৭ দামোদর, ১৭ কার্ত্তিক, ৩ নভেম্বর, রবিবার, গৌর দ্বিতীয়া রাত্রি ৮।১৫।২৫ । শ্রীল বাসুঘোষ ঠাকুরের তিরোভাব । ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিসর্ব্বস্ব গিরি মহারাজের তিরোভাব । ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া কৃত্যম্ । উঃ ৫।৪৫।৫২, অঃ ৪।৫৪।৩৭ ।

১৯ দামোদর, ১৯ কার্ত্তিক, ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার, গৌর চতুর্থী রাত্রি ৯।৩৪।৩২। বিশ্ববরেণ্য ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিবেদান্ত স্বামী মহারাজের তিরোভাব । উঃ ৫।৪৬।৫৯, অঃ ৪।৫৩।৩১ ।

২০ দামোদর, ২০ কার্ত্তিক, ৬ নভেম্বর, বুধবার, গৌর পঞ্চমী রাত্রি ৯।২৭।১৫ । ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্ত্যালোক পরমহংস মহারাজের তিরোভাব । উঃ ৫।৪৭।৩৪, অঃ ৪।৫৩।০ ।

২৩ দামোদর, ২৩ কার্ত্তিক, ৯ নভেম্বর, শনিবার, গৌর অষ্টমী রাত্রি ৬।২০।৫২ । শ্রীগোপাষ্টমী । শ্রীগোষ্ঠাষ্টমী । শ্রীল গদাধর দাস গোস্বামী, শ্রীল ধনঞ্জয় পণ্ডিত ও শ্রীল শ্রীনিবাস আচার্য্য প্রভুর তিরোভাব । উঃ ৫।৪৯।২৪, অঃ ৪।৫১।৩২।

২৫ দামোদর, ২৫ কার্ত্তিক, ১১ নভেম্বর, সোমবার, গৌর দশমী দিবা ২।৩০।৫৬ । উঃ ৫।৫০।৪২, অঃ ৪।৫০।৩৮ ।

২৬ দামোদর, ২৬ কার্ত্তিক, ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার, গৌর একাদশী দিবা ১২।১৭।১১ । শ্রীউত্থানৈকাদশী ব্রতের উপবাস । ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংস শ্রীল গৌরকিশোর দাস বাবাজী মহারাজের তিরোভাব । ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিদয়িত মাধব মহারাজের আবির্ভাব । শ্রীভীষ্মপঞ্চক । শ্রীহরির উত্থান । একাদশ্যারম্ভ পক্ষে চাতুর্ম্মাস্য, ঊর্জ্জব্রত, দামোদর-ব্রত, কার্ত্তিক-ব্রত বা নিয়ম-সেবা সমাপ্ত । উঃ ৫।৫১।২২, অঃ ৪।৫০।১২ ।

২৭ দামোদর, ২৭ কার্ত্তিক, ১৩ নভেম্বর, বুধবার, গৌর দ্বাদশী দিবা ৯।৫৬।৩৪ । প্রাতঃ ৫।৫২।৩ গতে পূর্ব্বাহ্ন ৯।৩২।১৭ মধ্যে একাদশীর পারণ । দ্বাদশ্যারম্ভ পক্ষে চাতুর্ম্মাস্য, ঊর্জ্জব্রত, দামোদর-ব্রত, কার্ত্তিক-ব্রত বা নিয়ম-সেবা সমাপ্ত । উঃ ৫।৫২।৩, অঃ ৪।৪৯।৪৭ ।

২৮ দামোদর, ২৮ কার্ত্তিক, ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, গৌর ত্রয়োদশী দিবা ৭।৩৩।৪৪ পরে গৌর চতুর্দ্দশী শেষরাত্রি ৫।১৩।৪৩ । শ্রীল ভূগর্ভ গোস্বামী ও শ্রীল কাশীশ্বর পণ্ডিতের তিরোভাব । শ্রীমদ্ভক্তিপ্রমোদ পুরী মহারাজের নির্য্যাণ । উঃ ৫।৫২।৪৫, অঃ ৪।৪৯।২২।

২৯ দামোদর, ২৯ কার্ত্তিক, ১৫ নভেম্বর, শুক্রবার, পূর্ণিমা রাত্রি ৩।২।৫১ । শ্রীশ্রীকৃষ্ণের রাসযাত্রা । শ্রীল সুন্দরানন্দ ঠাকুরের তিরোভাব । শ্রীল নিম্বার্ক আচার্য্যের আবির্ভাব । শ্রীধামবৃন্দাবনে শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গ-গান্ধর্ব্বা-রাসবিহারী জীউর প্রাকট্য মহোৎসব । পৌর্ণমাস্যারম্ভ পক্ষে চাতুর্ম্মাস্য, ঊর্জ্জব্রত, দামোদর-ব্রত, কার্ত্তিক-ব্রত বা নিয়ম-সেবা, শ্রীভীষ্মপঞ্চক সমাপ্ত । পূর্ণিমার উপবাস । উঃ ৫।৫৩।২৭, অঃ ৪।৪৮।৫৮ ।

 


অগ্রহায়ণ মাস—৩০ দিন

কেশব মাস—৩০ দিন

১০ কেশব, ৯ অগ্রহায়ণ, ২৫ নভেম্বর, সোমবার, কৃষ্ণ দশমী রাত্রি ১।৪৮।৫০ । উঃ ৬।১।০, অঃ ৪।৪৬।৮ ।

১১ কেশব, ১০ অগ্রহায়ণ, ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার, কৃষ্ণ একাদশী রাত্রি ৩।৫৪।৫৩ । উৎপন্না একাদশী ব্রতের উপবাস । শ্রীযুক্ত ধনঞ্জয় দাস প্রভুর নির্য্যাণ । উঃ ৬।১।৩৩, অঃ ৪।৪৬।১২ ।

১২ কেশব, ১১ অগ্রহায়ণ, ২৭ নভেম্বর, বুধবার, কৃষ্ণ দ্বাদশী শেষরাত্রি ৬।০।৫৭ । দিবা ১০।২৬।৪৯ গতে দিবা ১৪।১।০ মধ্যে একাদশী পারণ । শ্রীল নরহরি সরকার ঠাকুর ও শ্রীল কালিয় কৃষ্ণদাসের তিরোভাব । উঃ ৬।২।৭, অঃ ৪।৪৬।১৭ ।

১৩ কেশব, ১২ অগ্রহায়ণ, ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণ ত্রয়োদশী অহোরাত্র । শ্রীল সারঙ্গ ঠাকুরের তিরোভাব । উঃ ৬।২।৪১, অঃ ৪।৪৬।২৩ ।

১৫ কেশব, ১৪ অগ্রহায়ণ, ৩০ নভেম্বর, শনিবার, কৃষ্ণ চতুর্দ্দশী দিবা ৯।৫৩।২৩ । উঃ ৬।৩।৫০, অঃ ৪।৪৬।৩৫ ।

 

      

 

 

বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥