![শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠ আন্তর্জাতিক](/bn/pantry/banner.jpg) |
আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
|
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
|
|
|
|
|
|
শ্রীশ্রীপ্রেমবিবর্ত্ত
১২। বৈষ্ণব-মহিমা
জলময় তীর্থ মৃৎশিলাময় মূর্ত্তি ।
বহুকালে দেয় জীবহৃদে ধর্ম্মস্ফূর্ত্তির্ ॥১॥
কৃষ্ণভক্ত দেখি’ দূরে যায় সর্ব্বানর্থ ।
কৃষ্ণভক্তি সমুদিত হয় পরমার্থ ॥২॥
|
সংসার ভ্রমিতে ভব ক্ষয়োন্মুখ যবে ।
সাধুসঙ্গ-সংঘটন ভাগ্যক্রমে হবে ॥৩॥
সাধুসঙ্গফলে কৃষ্ণে সর্ব্বেশ্বরেশ্বরে ।
ভাবোদয় হয় ভাই জীবের অন্তরে ॥৪॥
|
৩। প্রাকৃত বা কনিষ্ঠ ভক্ত
|
সেই ত’ প্রাকৃত ভক্ত দীক্ষিত হইয়া ।
কৃষ্ণার্চ্চন করে বিধিমার্গেতে বসিয়া ॥৫॥
উত্তম মধ্যম ভক্ত না করে বিচার ।
শুদ্ধভক্তে সমাদর না হয় তাহার ॥৬॥
|
কৃষ্ণে প্রেম, ভক্তে মৈত্রী, মূঢ়ে কৃপা আর ।
শুদ্ধভক্তদ্বেষী জনে উপেক্ষা যাঁহার ॥৭॥
তিহোঁ ত’ প্রকৃত ভক্তিসাধক মধ্যম ।
অতি শীঘ্র কৃষ্ণ-বলে হইবে উত্তম ॥৮॥
|
সর্ব্বভূতে শ্রীকৃষ্ণের ভাব সন্দর্শন ।
ভগবানে সর্ব্বভূতে করেন দর্শন ॥৯॥
শত্রু-মিত্র-বিষয়েতে নাহি রাগদ্বেষ ।
তিহোঁ ভাগবতোত্তম এই গৌর-উপদেশ ॥১০॥
|
৬। উত্তম ভক্তের বিষয়-স্বীকার
|
বিষয় ইন্দ্রিয়দ্বারে করিয়া স্বীকার ।
রাগদ্বেষহীন ভক্তি জীবনে যাঁহার ॥১১॥
সমস্ত জগৎ দেখি’ বিষ্ণুমায়াময় ।
ভাগবতগণোত্তম সেই মহাশয় ॥১২॥
|
৭। তাঁহার ইন্দ্রিয় বৃত্তি পরিচালন
|
দেহেন্দ্রিয়-প্রাণ-মন-বুদ্ধি-যুক্ত-সবে ।
জন্ম নাশ ক্ষুধা তৃষ্ণা ভয় উপদ্রবে ॥১৩॥
অনিত্য সংসার-ধর্ম্মে হঞা মোহহীন ।
কৃষ্ণ স্মরি’ কাল কাটে ভক্ত সমীচীন ॥১৪॥
|
৮। তাঁহার কর্ম্ম দেহযাত্রার্থে মাত্র—কামের জন্য নহে
|
যাঁর চিত্তে নিরন্তর যশোদানন্দন ।
দেহযাত্রামাত্র কামকর্ম্মের গ্রহণ ॥১৫॥
কামকর্ম্মবীজরূপ বাসনা তাঁহার ।
চিত্তে নাহি জন্মে এই ভক্তিতত্ত্বসার ॥১৬॥
|
৯। হরিজন দেহাত্মবুদ্ধিহীন
|
জ্ঞান-কর্ম্ম-বর্ণাশ্রম দেহের স্বভাব ।
তাহে সঙ্গদ্বারা হয় ‘অহং-মম’-ভাব ॥১৭॥
দেহসত্ত্বে ‘অহং-মম’-ভাব নাহি যাঁর ।
হরিপ্রিয়জন তিহোঁ, করহ বিচার ॥১৮॥
|
১০। সর্ব্বভূতে সমবুদ্ধিসম্পন্ন
|
বিত্তসত্ত্বে তাহে ছাড়ি’ স্ব-পরভাবনা ।
‘তুমি’ ‘আমি’-সত্ত্বভেদে মিত্রারি-কল্পনা ॥১৯॥
সর্ব্বভূতে সমবুদ্ধি শান্ত যেই জন ।
ভাগবতোত্তম বলি’ তাঁহার গণন ॥২০॥
|
কৃষ্ণপাদপদ্মে সেই সুরমৃগ্য ধন ।
ভুবনবৈভব লাগি’ না ছাড়ে যে জন ॥২১॥
কৃষ্ণপদস্মৃতি নিমেষার্দ্ধ নাহি ত্যজে ।
বৈষ্ণব-অগ্রণী তিহোঁ পরানন্দে মজে ॥২২॥
|
কৃষ্ণপদশাখানখমণিচন্দ্রিকায় ।
নিরস্ত সকল তাপ যাঁহার হিয়ায় ॥২৩॥
সে কেন বিষয়সূর্য্যতাপ অন্বেষিবে ।
হৃদয় শীতল তার সর্ব্বদা রহিবে ॥২৪॥
|
১৩। উত্তম ভক্তের অন্যান্য লক্ষণ
|
যে বেঁধেছে প্রেমছাঁদে কৃষ্ণাঙ্ঘ্রিকমল ।
নাহি ছাড়ে হরি তার হৃদয় সরল ॥২৫॥
অবশেও যদি মুখে স্ফুরে কৃষ্ণনাম ।
ভাগবতোত্তম সেই, পূর্ণ সর্ব্ব কাম ॥২৬॥
|
স্বধর্ম্মের গুণদোষ বুঝিয়া যে জন ।
সর্ব্ব ধর্ম্ম ছাড়ি’ ভজে কৃষ্ণের চরণ ॥২৭॥
সেই ত’ উত্তম ভক্ত কেহ তার সম ।
না আছে জগতে আর ভাগবতোত্তম ॥২৮॥
|
কৃষ্ণের স্বরূপ আর নামের স্বরূপ ।
ভক্তের স্বরূপ আর ভক্তির স্বরূপ ॥২৯॥
জানিয়া ভজন করে যেই মহাজন ।
তার তুল্য নাহি কেহ বৈষ্ণব সুজন ॥৩০॥
|
স্বরূপ না জানে তবু অনন্যভাবেতে ।
শ্রীকৃষ্ণে সাক্ষাৎ ভজে নামস্বরূপেতে ॥৩১॥
তিহোঁ ভক্তোত্তম বলি’ জানিবেরে ভাই ।
এই আজ্ঞা দিয়াছেন চৈতন্য গোসাঞি ॥৩২॥
|
|
সূচীপত্র:
১। মঙ্গলাচরণ
২। গ্রন্থরচনা
৩। প্রথম প্রণাম
৪। গৌরস্য গুরুতা
৫। বিবর্ত্তবিলাসসেবা
৬। জীব-গতি
৭। সকলের পক্ষে নাম
৮। কুটীনাটি ছাড়
৯। যুক্তবৈরাগ্য
১০। জাতিকুল
১১। নবদ্বীপ-দীপক
১২। বৈষ্ণব-মহিমা
১৩। শ্রীগৌরদর্শনের
ব্যাকুলতা
১৪। বিপরীত বিবর্ত্ত
১৫। শ্রীনবদ্বীপে
পূর্ব্বাহ্ণ-লীলা
১৬। পীরিতি কিরূপ ?
১৭। ভক্তভেদে আচারভেদ
১৮। শ্রীএকাদশী
১৯। নামরহস্যপটল
২০। নাম-মহিমা
|
|
বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে ।
পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥
|