 |
আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
|
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
|
|
|
|
|
|
শ্রীশ্রীপ্রেমবিবর্ত্ত
১৭। ভক্তভেদে আচারভেদ
আর দিনে শ্রীস্বরূপ রঘুনাথে কয় ।
“তোমারে নিগূঢ় কিছু কহিব নিশ্চয়” ॥১॥
|
ভজনবিহীন-ধর্ম্ম কেবল কৈতব
|
যে বর্ণেতে জন্ম যার যে আশ্রমে স্থিতি ।
তত্তদ্ধর্ম্মে দেহযাত্রা এই শুদ্ধ নীতি ॥২॥
এইমতে দেহযাত্রা নির্ব্বাহ করিয়া ।
নিরন্তর কৃষ্ণ ভজে একান্ত হইয়া ॥৩॥
সেই সে সুবোধ, সুধার্ম্মিক, সুবৈষ্ণব ।
ভজনবিহীন-ধর্ম্ম কেবল কৈতব ॥৪॥
কৃষ্ণ নাহি ভজে, করে ধর্ম্ম-আচরণ ।
অধঃপথে যার তার মানব-জীবন ॥৫॥
গৃহী, ব্রহ্মচারী, বানপ্রস্থ বা সন্ন্যাসী ।
কৃষ্ণভক্তিশূন্য অসম্ভাষ্য দিবানিশি ॥৬॥
|
সম্বন্ধজ্ঞানলাভ ও যুক্ত-বৈরাগ্য-আশ্রয়
|
সকলেই করিবেন যুক্ত-বৈরাগ্য-আশ্রয় ।
কৃষ্ণ ভজিবেন বুঝি’ সম্বন্ধ নিশ্চয় ॥৭॥
সম্বন্ধনির্ণয়ে হয় আলম্বন বোধ ।
শুদ্ধ-আলম্বন হৈলে হয় প্রেমের প্রবোধ ॥৮॥
প্রেমে কৃষ্ণ ভজে সেই বাপের ঠাকুর ।
প্রেমশূন্য জীব কেবল ছাঁচের কুকুর ॥৯॥
কৃষ্ণভক্তি আছে যার বৈষ্ণব সে জন ।
গৃহ ছাড়ি’ ভিক্ষা করে, না করে ভজন ।
বৈষ্ণব বলিয়া তারে না কর গণন ॥১০॥
অন্য দেব-নির্ম্মাল্যাদি না করে গ্রহণ ।
কর্ম্মকাণ্ডে কভু না মানিবে নিমন্ত্রণ ॥১১॥
|
গৃহী ও গৃহত্যাগী-বৈষ্ণবের আচার
|
গৃহী গৃহত্যাগী ভেদে বৈষ্ণব-বিচার ।
দুঁহ ভক্তি-অধিকারী পৃথক্ আচার ॥১২॥
দুঁহার চাহিয়ে যুক্ত-বৈরাগ্য বিধান ।
সুজ্ঞান, সুভক্তি দুঁহার সমপরিমাণ ॥১৩॥
|
গৃহস্থ-বৈষ্ণব সদা স্বধর্ম্মে অর্জ্জিবে ।
আতিথ্যাদি সেবা যথাসাধ্য আচরিবে ॥১৪॥
বৈধপত্নী সহবাসে নহে ভক্তি হানি ।
সার্ষপ সুতৈল ব্যবহারে দোষ নাহি মানি ॥১৫॥
দধি দুগ্ধ স্মার্ত্ত-উপচরিত আমিষ ।
যুক্ত-বৈরাগীর হয় গ্রহণে নিরামিষ ॥১৬॥
গৃহস্থ-বৈষ্ণব সদা নামাপরাধ রাখি’ দূরে ।
আনুকূল্য লয়, প্রাতিকূল্য ত্যাগ করে ॥১৭॥
ঐকান্তিক নামাশ্রয় তাহার মহিমা ।
গৃহস্থ বৈষ্ণবের নাহি মাহাত্ম্যের সীমা ॥১৮॥
পরহিংসা ত্যাগ, পর-উপকারে রত ।
সর্ব্বভূতে দয়া গৃহীর এইমাত্র ব্রত ॥১৯॥
|
গৃহত্যাগী বা বৈরাগী বৈষ্ণবের কৃত্য
|
বৈরাগী বৈষ্ণব প্রাণবৃত্তি অঙ্গীকরি’ ।
অসঞ্চয় স্ত্রীসম্ভাষণশূন্য, ভজে হরি ॥২০॥
এইরূপ আচারভেদে সকল বৈষ্ণব ।
কৃষ্ণ ভজি’ পায় কৃষ্ণের অপ্রাকৃত বৈভব ॥২১॥
|
গৃহী হউক ত্যাগী হউক ভক্তে ভেদ নাই ।
ভেদ কৈলে কুম্ভীপাকে নরকেতে যাই ॥২২॥
মূল-কথা, কুটীনাটী ব্যবহার যার ।
বৈষ্ণবকুলেতে সেই মহাকুলাঙ্গার ॥২৩॥
সরল ভাবেতে গঠি’ নিজ ব্যবহার ।
জীবনে মরণে কৃষ্ণভক্তি জানি সার ॥২৪॥
কুটীনাটী কপটতা শাঠ্য কুটীলতা ।
না ছাড়িয়া হরি ভজে, তার দিন গেল বৃথা ॥২৫॥
সেই সব ভাগবত কদর্থ করিয়া ।
ইন্দ্রিয় চরাঞা বুলে প্রকৃতি ভুলাইয়া ॥২৬॥
|
অনুগ্রহায় ভক্তানাং মানুষং দেহমাশ্রিতঃ ।
ভজতে তাদৃশীঃ ক্রীড়া যাঃ শ্রুত্বা তৎপরো ভবেৎ ॥২৭॥
লম্পট পাপিষ্ঠ আপনাকে কৃষ্ণ মানি’ ।
কৃষ্ণলীলা অনুকৃতি করে ধর্ম্মহানি ॥২৮॥
|
শুদ্ধভক্তের রাধাকৃষ্ণের সেবা
|
শুদ্ধভক্ত ভক্তভাবে চিৎস্বরূপ হঞা ।
ব্রজে রাধাকৃষ্ণ সেবে সখীভাব লঞা ॥২৯॥
কৃষ্ণভাবে তৎপর হয় যে পামর ।
কুম্ভীপাক প্রাপ্ত হয় মরণের পর ॥৩০॥
|
অন্তরঙ্গ ভক্তি দেহে নহে—আত্মায়
|
অন্তরঙ্গ ভক্তি মনে, দেহে কিছু নয় ।
কুটীনাটী বলে মূঢ় আচরণ হয় ॥৩১॥
সেই সব অসৎসঙ্গ দূরে পরিহরি’ ।
কৃষ্ণ ভজে শুদ্ধভক্ত সিদ্ধদেহ ধরি ॥৩২॥
|
কৃষ্ণই পুরুষ, আর সব প্রকৃতি
|
ভক্তসব প্রকৃতি হইয়া মজে কৃষ্ণ পায় ।
পুরুষ একলে কৃষ্ণ, দাস মহাশয়” ॥৩৩॥
রঘুনাথদাস তবে বিনীত হইয়া ।
স্বরূপেরে নিবেদন করে দু’হাত জুড়িয়া ॥৩৪॥
“বল প্রভু, আছে এক জিজ্ঞাস্য আমার ।
স্বধর্ম্মবিহীনভক্তি সর্ব্বভক্তিসার ॥৩৫॥
|
তবে কেন গৃহস্থ থাকিবে স্বধর্ম্মেতে ।
স্বধর্ম্ম ছাড়িয়া ভক্তি পারে ত’ করিতে” ॥৩৬॥
স্বরূপ বলে, “শুন, ভাই, ইহাতে যে মর্ম্ম ।
বলিব তোমাকে আমি শুদ্ধভক্তি ধর্ম্ম ॥৩৭॥
স্বধর্ম্মে জীবনযাত্রা সহজে ঘটয় ।
পরধর্ম্মে কষ্ট আছে, স্বাভাবিক নয় ॥৩৮॥
স্বধর্ম্মে ভক্তির অনুকূল যাহা হয় ।
তাই ভক্তিমান্ জন গ্রহণ করয় ॥৩৯॥
যাহা যখন ভক্তি-প্রতিকূল হঞা যায় ।
তাহা ত্যাগ করিলে ত’ শুদ্ধভক্তি পায় ॥৪০॥
অতএব স্বধর্ম্মনিষ্ঠা চিত্ত হইতে ত্যজি’ ।
ভক্তিনিষ্ঠা করিলেই সাধুধর্ম্ম ভজি’ ॥৪১॥
স্বধর্ম্মত্যাগের নাম নিষ্ঠাপরিহার ।
নিয়মাগ্রহ দূর হইলে হয় বৈষ্ণব আচার ॥৪২॥
|
কৃষ্ণস্মৃতি বিধি, কৃষ্ণবিস্মৃতি নিষেধ
|
নিরন্তর কৃষ্ণস্মৃতি মূলবিধি ভাই ।
শ্রীকৃষ্ণবিস্মৃতি যাহে নিষেধ মূল তাই” ॥৪৩॥
তবে রঘুনাথ বলে, “কথা এক আর ।
আজ্ঞা হয় শুনি যাহে বৈষ্ণব-বিচার ॥৪৪॥
|
শ্রীঅচ্যুতগোত্র ও স্বধর্ম্ম
|
শ্রীঅচ্যুতগোত্র বলি’ বৈষ্ণব-নির্দ্দেশ ।
ইহার তাৎপর্য্য কিবা, ইথে কি বিশেষ” ॥৪৫॥
স্বরূপ বলে, “গৃহী, ত্যাগী উভয়ে সর্ব্বথা ।
এই গোত্রে অধিকারী নাহিক অন্যথা ॥৪৬॥
শ্রীঅচ্যুতগোত্রে থাকে শুদ্ধভক্ত যত ।
স্বধর্ম্মনিষ্ঠায় কভু নাহি হয় রত ॥৪৭॥
সংসারের গোত্র ত্যজি’ কৃষ্ণগোত্র ভজে ।
সেই নিত্যগোত্র তার, যেই বৈসে ব্রজে ॥৪৮॥
কেহ বা স্বদেহে বৈসে ব্রজগোপী হঞা ।
কেহ বা আরোপসিদ্ধ-মানসে লইয়া ॥৪৯॥
|
(১) প্রবর্ত্ত, (২) সাধক, (৩) সিদ্ধ—তিন যে প্রকার ।
বুঝিতে পারিলে বুঝি ভক্তিধর্ম্মসার ॥৫০॥
‘কনিষ্ঠাধিকারী’ হয় ‘প্রবর্ত্তে’ গণন ।
‘মধ্যমাধিকারী’ ‘সাধক’ ভক্ত মহাজন ॥৫১॥
‘উত্তমাধিকারী’ হয় ‘সিদ্ধ’ মহাশয় ।
হৃদয়ে স্বধর্ম্মনিষ্ঠা কভু না করয় ॥৫২॥
মধ্যমাধিকারী আর উত্তমাধিকারী ।
সকলে অচ্যুতগোত্র দেখহ বিচারি’” ॥৫৩॥
|
রঘুনাথ বলে, “এবে আরোপ বুঝিব ।
তাৎপর্য্য বুঝিয়া সব সন্দেহ ত্যজিব” ॥৫৪॥
দামোদর বলে, “শুন আরোপ-সন্ধান ।
ইহাতে চাহিয়ে ভক্তিস্বরূপের জ্ঞান ॥৫৫॥
|
ত্রিবিধা বৈষ্ণবী ভক্তি করহ বিচার ।
(১) ‘আরোপ-সিদ্ধা’, (২) ‘সঙ্গসিদ্ধা’, (৩) ‘স্বরূপ-সিদ্ধা’ আর ॥৫৬॥
|
(১) আরোপ-সিদ্ধা ভক্তি—কনিষ্ঠাধিকারীর
|
আরোপ-সিদ্ধার কথা বলিব প্রথমে ।
সুস্থির হইয়া বুঝ চিত্তের সংযমে ॥৫৭॥
বদ্ধ বহির্ম্মুখ জীব বিষয়ী প্রধান ।
জড়সঙ্গমাত্র করি’ করে অবস্থান ॥৫৮॥
জড়সুখ জড়দুঃখ নিয়ত তাহার ।
প্রাকৃত সংসর্গ বিনা কিছু নাহি আর ॥৫৯॥
অপ্রাকৃত বলি’ কিছু নাহি পায় জ্ঞান ।
অপ্রাকৃত-তত্ত্ব মনে নাহি পায় স্থান ॥৬০॥
নিজে অপ্রাকৃত বস্তু তাহাও না জানে ।
অরক্ষিত শিশু যেন সদাই অজ্ঞানে ॥৬১॥
কোন ভাগ্যে কোন জন্মে সুকৃতির ফলে ।
শ্রদ্ধার উদয় হয় হৃদয়কমলে ॥৬২॥
প্রথম সন্ধানে শুনে, ‘আমি কৃষ্ণদাস’ ।
এ সংসার হইতে উদ্ধারে করে আশ ॥৬৩॥
|
গুরু বলে, ‘শুন, বাছা, কর কৃষ্ণার্চ্চন’ ।
কৃষ্ণার্চ্চনে তবে তার ইচ্ছা-সংঘটন ॥৬৪॥
কৃষ্ণ যে অপ্রাকৃত প্রভু, এই মাত্র শুনে ।
কৃষ্ণস্বরূপ অপ্রাকৃত তাহা নাহি জানে ॥৬৫॥
নিজ চতুর্দিকে যাহা করে দরশনে ।
তঁহি মধ্যে ইষ্ট যাহা বুঝি দেখ মনে ॥৬৬॥
ইষ্টদ্রব্যে ইষ্টমূর্ত্তির করয় পূজন ।
এই স্থলে হয় তার আরোপ-চিন্তন ॥৬৭॥
মনুষ্যমূরতি এক করিয়া গঠন ।
গন্ধ-পুষ্প-ধূপ-দীপে করয়ে অর্চ্চন ॥৬৮॥
আরোপ-বুদ্ধ্যে ভাবে সব অপ্রাকৃত ধন ।
আরোপ চিন্তিয়া কভু অপ্রাকৃতাপন ॥৬৯॥
ইহাতে যে কর্ম্মার্পণ আরোপের স্থল ।
আরোপে ক্রমশঃ ভক্তিতত্ত্বে পায় বল ॥৭০॥
এই ত’ আরোপ-সিদ্ধা ভক্তির লক্ষণ ।
কনিষ্ঠাধিকারীর হয় এই সমর্চ্চন ॥৭১॥
|
তত্ত্ববোধে শ্রীমূর্ত্তি পূজা
|
তত্ত্বটী বুঝিয়া যবে শ্রীমূর্ত্তি পূজয় ।
তবে মধ্যম অধিকার হয় ত’ উদয় ॥৭২॥
উত্তমাধিকারে আরোপের নাহি স্থান ।
মানসে অপ্রাকৃত তত্ত্বের পায় ত’ সন্ধান ॥৭৩॥
প্রেমের উদয় হয় প্রেমচক্ষে হেরি’ ।
প্রাণেশ্বরে ভজে পূর্ব্ব-আরোপ দূর করি’ ॥৭৪॥
ভক্তি স্বভাবতঃ নহে হেন কর্ম্মার্পণে ।
আরোপসিদ্ধা ভক্তিমধ্যে হয় ত’ গণনে ॥৭৫॥
|
(১) আরোপ-সিদ্ধার মূল তত্ত্ব
|
আরোপ-সিদ্ধার এক মূলতত্ত্ব এই ।
জড়বস্তু, জড়কর্ম্ম ভক্তিভাবে লই ॥৭৬॥
জড়বস্তু, জড়কর্ম্মমধ্যে ঘৃণ্য যাহা ।
অর্পণেও ভক্তি নাহি হয় কভু তাহা ॥৭৭॥
উপাদেয় ইষ্ট বলি’ কর্ম্মার্পণ করে ।
‘আরোপসিদ্ধা ভক্তি’ বলি’ বলিব তাহারে ॥৭৮॥
মায়াবাদে অর্চ্চনাঙ্গ আরোপ-লক্ষণ ।
ভক্তিবাদে স্বরূপসিদ্ধা ভক্তির দর্শন ॥৭৯॥
|
এবে শুন, ‘সঙ্গ-সিদ্ধা ভক্তি’ যেইরূপ ।
শুদ্ধজ্ঞান সুবৈরাগ্য সঙ্গসিদ্ধার স্বরূপ ॥৮০॥
যথা ভক্তি তথা যুক্তবৈরাগ্য শুদ্ধজ্ঞান ।
সাহচর্য্যে সঙ্গসিদ্ধ বুঝহ সন্ধান ॥৮১॥
দৈন্য দয়া সহিষ্ণুতা ভক্তি-সহচর ।
সঙ্গসিদ্ধ-ভক্তি-অঙ্গ জান অতঃপর ॥৮২॥
|
সাক্ষাৎ ভক্তির কার্য্য যাহাতে নিশ্চয় ।
‘স্বরূপসিদ্ধা ভক্তি’র ক্রিয়া তাহাই হয় ॥৮৩॥
শ্রবণ-কীর্ত্তন-আদি নববিধ ভজন ।
স্বরূপসিদ্ধা ভক্তি বলি’ তন্নামকীর্ত্তন ॥৮৪॥
কৃষ্ণেতে সাক্ষাৎ তাহাদের মুখ্যগতি ।
আরোপসিদ্ধা, সঙ্গসিদ্ধার গৌণভাবে স্থিতি ॥৮৫॥
স্বতঃসিদ্ধ আত্মবৃত্তি শুদ্ধভক্তিসার ।
বদ্ধজীবে মনোবৃত্তে উদয় তাহার ॥৮৬॥
কৃষ্ণোন্মুখ জড়দেহে তাহার বিস্তৃতি ।
এ জগতে ভক্তিদেবীর এইরূপ স্থিতি ॥৮৭॥
|
ত্রিবিধা ভক্তির ত্রিবিধা ক্রিয়া
|
সেই ভক্তি ‘স্বরূপসিদ্ধা’ সাক্ষাৎ ক্রিয়া যথা ।
‘সঙ্গসিদ্ধা’ সহচর সাহায্যে সর্ব্বথা ॥৮৮॥
‘আরোপসিদ্ধা’ হয় যথা প্রাকৃত বস্তু ক্রিয়া ।
অপ্রাকৃত ভাবে সাধে প্রাকৃত নাশিয়া” ॥৮৯॥
স্বরূপের উপদেশে, বুঝে রঘুনাথ ।
পীরিতি-স্বরূপতত্ত্ব জগাইয়ের সাথ ॥৯০॥
|
|
সূচীপত্র:
১। মঙ্গলাচরণ
২। গ্রন্থরচনা
৩। প্রথম প্রণাম
৪। গৌরস্য গুরুতা
৫। বিবর্ত্তবিলাসসেবা
৬। জীব-গতি
৭। সকলের পক্ষে নাম
৮। কুটীনাটি ছাড়
৯। যুক্তবৈরাগ্য
১০। জাতিকুল
১১। নবদ্বীপ-দীপক
১২। বৈষ্ণব-মহিমা
১৩। শ্রীগৌরদর্শনের
ব্যাকুলতা
১৪। বিপরীত বিবর্ত্ত
১৫। শ্রীনবদ্বীপে
পূর্ব্বাহ্ণ-লীলা
১৬। পীরিতি কিরূপ ?
১৭। ভক্তভেদে আচারভেদ
১৮। শ্রীএকাদশী
১৯। নামরহস্যপটল
২০। নাম-মহিমা
|
|
বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে ।
পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥
|