শ্রীনবদ্বীপধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা
—: শ্রীনবদ্বীপধাম মাহাত্ম্য :—
চতুর্থ অধ্যায় : শ্রীজীবের আগমন ও শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু তাঁহাকে শ্রীনবদ্বীপতত্ত্ব বলেন
(শ্রীশ্রীল সচ্চিদানন্দ ভক্তিবিনোদ ঠাকুর রচিত)
জয় জয় নবদ্বীপচন্দ্র শচীসুত ।
জয় জয় নিত্যানন্দরায় অবধূত ॥
জয় জয় নবদ্বীপ সর্ব্ব ধাম সার ।
যথায় হইল শ্রীচৈতন্য অবতার ॥
সর্ব্ব তীর্থে বাস করি যেই ফল পাই ।
নবদ্বীপে লভি তাহা একদিনে ভাই ॥
সেই নবদ্বীপ পরিক্রমা বিবরণ ।
শাস্ত্র আলোচিয়া গাই শুন সাধু জন ॥
শাস্ত্রের লিখন আর বৈষ্ণব বচন ।
প্রভু আজ্ঞা এই তিন মম প্রাণধন ॥
এ তিনে আশ্রয় করি করিব বর্ণন ।
নদীয়া ভ্রমণ বিধি শুন সর্ব্বজন ॥
শ্রীজীবগোস্বামী যবে ছাড়িলেন ঘর ।
নদীয়া নদীয়া বলি ব্যাকুল অন্তর ॥
চন্দ্রদ্বীপ ছাড়ি তেঁহ যত পথ চলে ।
ভাসে দুই চক্ষু তাঁর নয়নের জলে ॥
হা গৌরাঙ্গ নিত্যানন্দ জীবের জীবন ।
কবে মোরে কৃপা করি দিবে দরশন ॥
হাহা নবদ্বীপধাম সর্ব্বধাম সার ।
কবে বা দেখিব আমি বলে বারবার ॥
কৈশোর বয়স জীব সুন্দর গঠন ।
বৈরাগ্যের পরাকাষ্ঠা অপূর্ব্ব দর্শন ॥
চলিয়া চলিয়া কতদিন মহাশয় ।
নবদ্বীপে উত্তরিল সদা প্রেমময় ॥
দূর হৈতে নবদ্বীপ করি দরশন ।
দণ্ডবৎ হয়ে পড়ে প্রায় অচেতন ॥
কতক্ষণ পরে নিজ চিত্ত করি স্থির ।
প্রবেশিল নবদ্বীপে পুলক শরীর ॥
বারকোণা ঘাটে আসি জিজ্ঞাসে সবারে ।
কোথা প্রভু নিত্যানন্দ দেখাও আমারে ॥
শ্রীজীবের ভাব দেখি কোন মহাজন ।
প্রভু নিত্যানন্দ যথা লয় ততক্ষণ ॥
হেথা প্রভু নিত্যানন্দ অট্ট অট্ট হাসি ।
শ্রীজীব আসিবে বলি অন্তরে উল্লাসী ॥
আজ্ঞা দিল দাসগণে শ্রীজীবে আনিতে ।
অনেক বৈষ্ণবে যায় জীবে সম্বোধিতে ॥
সাত্ত্বিক-বিকার-পূর্ণ জীবের শরীর ।
দেখি জীব বলি সবে করিলেন স্থির ॥
কেহ কেহ আগে গিয়া মহাপ্রেম ভরে ।
নিত্যানন্দ প্রভু আজ্ঞা বিজ্ঞাপন করে ॥
প্রভু নিত্যানন্দ নাম করিয়া শ্রবণ ।
ধরণীতে পড়ে জীব হয়ে অচেতন ॥
ক্ষণেক উঠিয়া বলে বড় ভাগ্য মম ।
প্রভু নিত্যানন্দ কৃপা পাইল অধম ॥
সে সব বৈষ্ণবগণে দণ্ডবৎ হয়ে ।
প্রণাম করয়ে জীব প্রফুল্ল হৃদয়ে ॥
বলে তুমি সবে মোরে হইলে সদয় ।
নিত্যানন্দ পদ পাই সর্ব্ব শাস্ত্রে কয় ॥
জীবের সৌভাগ্য হেরি কতেক বৈষ্ণব ।
চরণের ধূলি লয় করিয়া উৎসব ॥
সবে মেলি জীবে লয় নিত্যানন্দ যথা ।
বৈষ্ণবে বেষ্টিতে প্রভু কহে কৃষ্ণকথা ॥
প্রভু নিত্যানন্দের দেখিয়া দিব্যরূপ ।
জীবের শরীরে হয় ভাব অপরূপ ॥
কি অপূর্ব্বরূপ আজ হেরিনু বলিয়া ।
পড়িল ধরণীতলে অচেতন হৈয়া ॥
মহাকৃপাবশে প্রভু নিত্যানন্দরায় ।
জীবে উঠাইয়া লয় আপনার পায় ॥
ব্যস্ত হয়ে শ্রীজীবগোস্বামী দাঁড়াইল ।
করযুড়ি নিত্যানন্দে কহিতে লাগিল ॥
বিশ্বরূপ বিশ্বধাম তুমি বলরাম ।
আমি জীব কিবা জানি তব গুণগ্রাম ॥
তুমি মোর প্রভু নিত্য আমি তব দাস ।
তোমার চরণছায়া একমাত্র আশ ॥
তুমি যারে কর দয়া সেই অনায়াসে ।
শ্রীচৈতন্য পদ পায় প্রেমজলে ভাসে ॥
তোমার করুণা বিনা গৌর নাহি পায় ।
শত জন্ম ভজে যদি গৌরাঙ্গ হিয়ায় ॥
গৌর দণ্ড করে যদি তুমি রক্ষা কর ।
তুমি যারে দণ্ড কর গৌর তার পর ॥
অতএব প্রভু তব চরনকমলে ।
লইনু শরণ আমি সুকৃতির বলে ॥
তুমি কৃপা করি মোরে দেহ অনুমতি ।
শ্রীগৌরদর্শনে পাই গৌরে হউ রতি ॥
যবে রামকেলিগ্রামে শ্রীগৌরাঙ্গরায় ।
আমার পিতৃব্যদ্বয়ে লইলেন পায় ॥
সেইকালে শিশু আমি সজলনয়নে ।
হেরিলাম গৌররূপ সদা জাগে মনে ॥
শ্রীগৌরাঙ্গপদে পড়ি করিনু প্রণতি ।
শ্রীঅঙ্গ স্পর্শিয়া সুখ পাইলাম অতি ॥
সেই কালে গৌর মোরে কহিলা বচন ।
ওহে জীব কর তুমি শাস্ত্র অধ্যয়ন ॥
অধ্যয়ন সমাপিয়া নবদ্বীপে চল ।
নিত্যানন্দ শ্রীচরণে পাইবে সকল ॥
সেই আজ্ঞা শিরে ধরি আমি অকিঞ্চন ।
যথা সাধ্য বিদ্যা করিয়াছি উপার্জ্জন ॥
চন্দ্রদ্বীপে পড়িলাম সাহিত্যাদি যত ।
বেদান্ত আচার্য্য নাহি পাই মনোমত ॥
প্রভু আজ্ঞা ছিল মোরে বেদান্ত পড়িতে ।
বেদান্ত সম্মত কৃষ্ণভক্তি প্রকাশিতে ॥
আইলাম নবদ্বীপে তোমার চবণে ।
যেইরূপ আজ্ঞা হয় করি আচরণে ॥
আজ্ঞা হয় যাই ক্ষেত্রে প্রভুর চরণে ।
বেদান্ত পড়িব সার্ব্বভৌমের সদনে ॥
জীবের মধুর বাক্যে নিত্যানন্দরায় ।
জীবে কোলে করি কাঁদে ধৈর্য্য নাহি পায় ॥
বলে শুন ওহে জীব নিগূঢ় বচন ।
সর্ব্বতত্ত্ব অবগত রূপ সনাতন ॥
প্রভু মোরে আজ্ঞা দিল বলিতে তোমায় ।
ক্ষেত্রে নাহি যাও তুমি না রহ হেথায় ॥
তুমি আর রূপ সনাতন দুই ভাই ।
প্রভুর একান্ত দাস জানেন সবাই ॥
তোমা প্রতি আজ্ঞা এই বারাণসী গিয়া ।
বাচস্পতি নিকটেতে বেদান্ত পড়িয়া ॥
একেবারে যাহ তথা হৈতে বৃন্দাবন ।
তথা কৃপা করিবেন রূপ সনাতন ॥
রূপের অনুগ হয়ে যুগল-ভজন ।
কর তথা বেদান্তাদি শাস্ত্র-আলাপন ॥
ভাগবত শাস্ত্র হয় সর্ব্বশাস্ত্র সার ।
বেদান্তসূত্রের ভাষ্য করহ প্রচার ॥
সার্ব্বভৌমে কৃপা করি গৌরাঙ্গ শ্রীহরি ।
ব্রহ্মসূত্র ব্যাখ্যা কৈল ভাগবত ধরি ॥
সেই বিদ্যা সার্ব্বভৌম শ্রীমধুসূদনে ।
শিখাইল ক্ষেত্রধামে পরম যতনে ॥
সেই মধুবাচস্পতি প্রভু আজ্ঞা পেয়ে ।
আছে বারাণসীধামে দেখ তুমি যেয়ে ॥
বাহ্যে তেঁহ সম্প্রদায়ী বৈদান্তিক হয় ।
শাঙ্করী সন্ন্যাসী তাঁর নিকটে পড়য় ॥
ক্রমে ক্রমে সন্ন্যাসীগণেরে কৃপা করি ।
গৌরাঙ্গের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেয় সূত্র ধরি ॥
পৃথক ভাষ্যের এবে নাহি প্রয়োজন ।
ভাগবতে কর সূত্র ভাষ্যেতে গণন ॥
কালে যবে ভাষ্যের হইবে প্রয়োজন ।
শ্রীগোবিন্দভাষ্য তবে হবে প্রকটন ॥
সার্ব্বভৌম স্বসম্পর্কে যেই গোপীনাথ ।
শুনিল প্রভুর ভাষ্য সার্ব্বভৌম সাথ ॥
কালে তেঁহ প্রভুর ইচ্ছায় জন্ম লয়ে ।
বলদেবাবেশে যাবে জয়পুর জয়ে ॥
তথা শ্রীগোবিন্দ বলে ভাষ্য প্রকাশিয়া ।
সেবিবে গৌরাঙ্গপদ জীবে নিস্তারিয়া ॥
এই সব গূঢ় কথা রূপ সনাতন ।
সকল কহিবে তোমা প্রতি দুইজন ॥
নিত্যানন্দ বাক্য শুনি শ্রীজীব গোঁসাই ।
কাঁদিয়া লোটায় ভূমে সংজ্ঞা আর নাই ॥
কৃপা করি প্রভু নিজ চরণযুগল ।
শ্রীজীবের শিবে ধরি অর্পিলেন বল ॥
জয় শ্রীগৌরাঙ্গ জয় নিত্যানন্দরায় ।
বলিয়া নাচেন জীব বৈষ্ণব সভায় ॥
শ্রীবাসাদি ছিল তথা যত মহাজন ।
জীবে নিত্যানন্দ কৃপা করি দরশন ॥
সবে নাচে শ্রীগৌরাঙ্গ নিত্যানন্দ বলি ।
মহাকলরবে তথা হয় হুলুস্থূলী ॥
কতক্ষণ পরে নৃত্য করি সম্বরণ ।
জীবে লয়ে নিত্যানন্দ বসিল তখন ॥
জীবের হইল বাসা শ্রীবাসঅঙ্গনে ।
সন্ধ্যাকালে আইল পুন প্রভু দরশনে ॥
নির্জ্জনে বসিয়া প্রভু গৌরগুণ গায় ।
শ্রীজীব আসিয়া পড়ে নিত্যানন্দ পায় ॥
যত্ন করি প্রভু তারে নিকটে বসায় ।
কর যোড় করি জীব স্বদৈন্য জানায় ॥
জীব বলে প্রভু মোরে করুণা করিয়া ।
নবদ্বীপধাম তত্ত্ব বলে বিবরিয় ॥
প্রভু বলে ওহে জীব বলিব তোমায় ।
অত্যন্ত নিগূঢ় তত্ত্ব রাখিবে হিয়ায় ॥
যথা তথা এবে ইহা না কর প্রকাশ ।
প্রকট লীলার অন্তে হইবে বিকাশ ॥
এই নবদ্বীপ হয় সর্ব্বধাম সার ।
শ্রীবিরজা ব্রহ্মধাম আদি হয়ে পার ॥
বৈকুণ্ঠের পর শ্বেতদ্বীপ শ্রীগোলক ।
তদন্তে গোকুল বৃন্দাবন কৃষ্ণলোক ॥
সেই লোক দুই ভাবে হয়ত প্রকাশ ।
মাধুর্য্য ঔদার্য্য ভেদে রসের বিকাশ ॥
মাধুর্য্যে ঔদার্য্য পুর্ণ রূপে অবস্থিত ।
ঔদার্য্যে মাধুর্য্য পুর্ণ রূপেতে বিহিত ॥
তথাপিও যে প্রকাশে মাধুর্য্য প্রদান ।
বৃন্দাবন বলি তাহা জানে ভাগ্যবান ॥
যে প্রকাশে ঔদার্য্য প্রধান নিত্য হয় ।
সেই নবদ্বীপধাম সর্ব্ব বেদে কয় ॥ ॥
বৃন্দাবন নবদ্বীপে নাহি কিছু ভেদ ।
রসের প্রকাশ ভেদে করয় প্রভেদ ॥
এই ধাম নিত্যসিদ্ধ চিন্ময় অনন্ত ।
জড়-বুদ্ধি জনে তার নাহি পায় অন্ত ॥
হলাদিনী প্রভাবে জীব ছাড়ি জড়-ধর্ম্ম ।
নিত্যসিদ্ধ জ্ঞান বলে পায় তার ধর্ম্ম ॥
সর্ব্ব নবদ্বীপ হয় চিন্ময় প্রকাশ ।
সেই পীঠে শ্রীগৌরাঙ্গ করেন বিলাস ॥
চর্ম্ম চক্ষে লোকে দেখে প্রপঞ্চ গঠন ।
মায়া আচ্ছাদিয়া রাখে নিত্য নিকেতন ॥
নবদ্বীপে মায়া নাই জড় দেশ কাল ।
কিছু তথা নাহি আছে জীবের জঞ্জাল ॥
কিন্তু কর্ম্ম-বন্ধ ক্রমে জীব মায়াবশে ।
নবদ্বীপধামে প্রাপঞ্চিক ভাবে পশে ॥
ভাগ্যক্রমে সাধু সঙ্গে প্রেমের উদয় ।
হয় যবে তবে দেখে বৈকুণ্ঠ চিন্ময় ॥
অপ্রাকৃত দেশ কাল ধাম দ্রব্য যত ।
অনায়াসে দেখে স্বীয় চক্ষে অবিরত ॥
এই ত কহিনু আমি নবদ্বীপ তত্ত্ব ।
বিচারিয়া দেখ জীব হয়ে শুদ্ধ সত্ত্ব ॥
নিতাই জাহ্ণবা পদে নিত্য যার আশ ।
গূঢ় তত্ত্ব করে ভক্তিবিনোদ প্রকাশ ॥
|
|
শ্রীনবদ্বীপধাম
মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা
অনন্তশ্রীবিভূষিত ওঁ বিষ্ণুপাদ
পরমহংসকুলচূড়ামণি বিশ্ববরেণ্য জগদ্গুরু
শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের
পদ্মমুখের হরিকথামৃত
এইগ্রন্থশিরোমণি শ্রীগুরুপাদপদ্ম ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য
মহারাজের ইচ্ছা পূর্ণ করবার জন্য এবং তাঁর শ্রীচরণের তৃপ্তির জন্য তাঁর অহৈতুক
কৃপায় শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠ হইতে প্রকাশিত হয় শ্রীমন্ মহাপ্রভুর শুভার্বিভাব
তিথিতে শ্রীগৌরাব্দ ৫৩৪, বঙ্গাব্দ ১৪২৬, খৃষ্টাব্দ মার্চ্চ ২০২০ ।
সূচীপত্র:
শ্রীগৌরধাম ও
শ্রীভক্তিবিনোদ
শ্রীনবদ্বীপধাম মাহাত্ম্য
(১) শ্রীশ্রীনবদ্বীপধামের সাধারণ
মাহাত্ম্য কথন
(২) শ্রীশ্রীগৌড়মণ্ডল ও
শ্রীশ্রীনবদ্বীপধামের বাহ্যস্বরূপ ও পরিমাণ
(৩) শ্রীশ্রীনবদ্বীপধাম
পরিক্রমার সাধারণ বিধি
(৪) শ্রীজীবের আগমন ও শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু তাঁহাকে শ্রীনবদ্বীপতত্ত্ব
বলেন
(৫) শ্রীমায়াপুর ও
শ্রীঅন্তর্দ্বীপের কথা
(৬) শ্রীগঙ্গানগর,
শ্রীপৃথুকুণ্ড, শ্রীসীমন্তদ্বীপ, শ্রীবিশ্রামস্থানাদি দর্শন
(৭) শ্রীসুবর্ণবিহার ও
শ্রীদেবপল্লী বর্ণন
(৮) শ্রীহরিহরক্ষেত্র,
শ্রীমহাবারাণসী ও শ্রীশ্রীগোদ্রুমদ্বীপ বর্ণন
(৯) শ্রীমধ্যদ্বীপ ও নৈমিষ
বর্ণন
(১০) শ্রীব্রাহ্মণপুষ্কর,
শ্রীউচ্চহট্টাদি দর্শন ও পরিক্রমা-ক্রম বর্ণন
(১১) শ্রীশ্রীকোলদ্বীপ,
শ্রীসমুদ্রগড়, শ্রীচম্পাহট্ট ও শ্রীজয়দেব-কথা বর্ণনা
(১২) শ্রীশ্রীঋতুদ্বীপ ও
শ্রীরাধাকুণ্ড বর্ণন
(১৩) শ্রীবিদ্যানগর ও
শ্রীজহ্ণুদ্বীপ বর্ণন
শ্রীনবদ্বীপধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা
•
শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের ভজনকুটির
(স্বানন্দ-সুখদা-কুঞ্জ)
•
শ্রীনৃসিংহপল্লী
•
শ্রীকোলদ্বীপ
|