শ্রীভক্তিরক্ষক হরিকথামৃত
১ । আত্মতত্ত্ব ও ভগবৎ-তত্ত্ব
ইন্দ্রিয়াণি পরাণ্যাহুরিন্দ্রিয়েভ্যঃ পরং মনঃ ।
মনসস্তু পরা বুদ্ধির্বুদ্ধের্যঃ পরতস্তু সঃ ।
(গীতা ৩/৪২)
‘—পণ্ডিতগণ বলেন জীবদেহের অন্যান্য অংশ
অপেক্ষা—ইন্দ্রিয়গণ শ্রেষ্ঠ, ইন্দ্রিয়সকল হইতে মন শ্রেষ্ঠ, মন অপেক্ষাও
নিশ্চয়াত্মিকা বৃত্তিরূপ বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ ।’ আবার যিনি বুদ্ধি অপেক্ষাও
শ্রেষ্ঠ, তিনিই সেই জীবাত্মা । এজগতে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি অর্থাৎ চোখ, কান,
নাক এগুলি খুব ‘Important’ (প্রয়োজনীয়) এগুলি যদি কেড়ে নেওয়া যায় তাহলে আমাদের
কিছুই নাই, কেননা চোখ দিয়ে দেখা যায়, কান দিয়ে শুনা যায় ; এভাবে প্রত্যেক
ইন্দ্রিয়ের বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে, এগুলি না থাকলে কোন কিছু আমাদের
আস্বাদনীয় হবে না । তারপর 'ইন্দ্রিয়েভ্য পরং মনঃ’—ইন্দ্রিয়ের চেয়েও শ্রেষ্ঠ
হচ্ছে মন । কেন ? যদি আমরা অন্যমনস্ক থাকি তাহলে শুনতেও পাইনা দেখতেও পাই
না । তাহলে ইন্দ্রিয়ের চেয়ে মন বড় বলছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় । মনের
ধর্ম্ম কি—সংকল্প বিকল্প, অর্থাৎ এইটে চাই এইটে চাইনে, এইযে ভাব এটাই হল মনের
ধর্ম্ম । তারপর ‘মনসস্তু পরা বুদ্ধি’—মনের উপরে হচ্ছে বুদ্ধি, ‘Judging
faculty’, বুদ্ধি বলে দেয় এইটে নাও, এইটে নিওনা, এইটে ভাল, এইটে ভাল নয় অর্থাৎ
নিশ্চয়াত্মিকা বিচার দেওয়া বুদ্ধির কাজ । সুতরাং ‘Intelligence’ বা
‘Judging faculty’ যা আমাদের ভেতরেই রয়েছে তা আরো ‘important’ ( প্রয়োজনীয় ) সেই
ইন্দ্রিয় অথবা মন থেকে । আর ‘বুদ্ধের্যঃ পরতস্তু সঃ’—এখন বুদ্ধি হতে আর এক
ডিগ্রী উপরে গেলে দেখা যাবে ‘Our real self’ অর্থাৎ আমাদের মূল সত্ত্বা
সেখানে । সেটা কি, সেটা একটা আলোর কণার মত । আলোটা পড়লে পরে বুদ্ধি
বলে দেয় এটা কালো, এটা সাদা, এটা ভাল, এটা মন্দ । তাহলে ইন্দ্রিয় দেখিয়ে
দেবে, মন চাইবে, বুদ্ধি বিচার করবে, কিন্তু আলোটা তো চাই, ‘Light’ জ্ঞান ।
তাহলে জ্ঞানের কণা হচ্ছে আত্মা, আর তারও উপরে হচ্ছে গিয়ে পরমাত্মা যা আরো
সুসূক্ষ্ম । আত্মাতো ‘Partial’ (অংশ) কিন্তু পরমাত্মা আরো ব্যাপক সে একে
‘Control’ (নিয়ন্ত্রণ) করতে পারে । সেদিকে দৃষ্টি ফেরালে আরো উচ্চতর
জিনিষের সন্ধান পাওয়া যায় । বিরজা, ব্রহ্মলোক, বৈকুন্ঠ, গোলক এভাবে
আছে ।
গোলোকে ভগবান কৃষ্ণ সর্ব্বোপরি । সেখানে
যেতে হলে মালিক হয়ে যেতে পারবে না, প্রভু হয়ে যেতে পারবে না, চাকর হয়ে যেতে
হবে । কেননা সেখানকার ‘Soil’ তুমি যে উপাদানে তৈরী তার চেয়েও দামী উপাদানের
‘Soil’ সেটা । ‘বৈকুন্ঠের পৃথিব্যাদি সকলই চিন্ময়’ (চৈঃ চঃ) । বৈকুন্ঠ
যাকে বলা হয়েছে জীবাত্মার উর্দ্ধতম দেশ, মানে সূক্ষ্মতর দেশ, সেদেশ চিন্ময় দেশ,
‘মায়িক ভূতের তথা জন্ম নাহি হয়’ । সেখানকার জলবায়ু সকলই চেতন । স্থূল
উপাদানে তৈরী নয়, ‘Matter’ দিয়ে তৈরী নয় । জীব যে ‘Conscious’ এ আছে তার
চেয়ে ‘Higher Consciousness’ সেখানে আছে । তাঁরা এখানে আসতে পারেন কিন্তু
জীব ‘Objective Position’-এ আছে । জীব পরাধীন তাই সে ‘Slave’ হয়ে যেতে
পারে, তাই মহাপ্রভু বললেন, ‘জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্যদাস ।’ অস্বীকার
করলে চলবে না । তুমি চেতনের কণা, জগতে তোমার ‘Position’ কতটুকু হতে
পারে । কেন্দ্রের তুলনায় ‘Absolute’-এর কাছে তুমি সামান্য । সুতরাং
সেই সত্য সম্বন্ধটা স্বীকার করে নিলে ভাল হয়না যে তুমি বড় আমি ছোট ।
এসত্যটা স্বীকার করলে তুমিতো একটা ‘Place’ (স্থান) পাও, তা না হলে মায়া এদিকটা
তো মায়া, যা মহামিথ্যা । রবিঠাকুরের একটা নাটকের শেষে বলা হয়েছে তুমি
মহামায়া, তুমি মহামিথ্যা । মায়া মিথ্যা 'Conception’ (ধারণা) ।
এখানকার যা ভোগ সবই মিথ্যা । ‘মা’ মানে ‘না’ অর্থাৎ ‘যা নয়’ । সেটা
‘Separate Provincial interest’ (পৃথক ক্ষুদ্র রাজ্যের স্বার্থ) । একটা
‘Universal wave’ (অনন্তের প্রবাহ) চলছে তাতে আমরা আমাদের ‘Separate interest’
এর ‘Wave’ (পৃথক স্বার্থের তরঙ্গ) তুলে এটিকে ব্যাহত করতে চাই, প্রত্যেকে নিজের
নিজের স্বার্থ পরিচয়কে দেখতে চাই । যেমন একটা নিম গাছ, আমরা বলব এর থেকে
ঔষধ ইত্যাদি হয়, আর পোকা বলবে, আমাদের বংশানুক্রমে ‘Record’ (সংগৃহীত তথ্য)
হচ্ছে ওটা খুবই নোংরা, বাজে ওটা আমরা খেতে পারিনা । এভাবে প্রত্যেকে নিজের
সম্বন্ধ অনুসারে বিচার করবে । আমরা একটা ঘর করলাম তাতে পায়রারা বলছে আমার
জন্য ঘর এই বলে জায়গার জন্য পরস্পর ঝগড়া করছে ।
এই রকম ভাবেতে একটা ‘Universal’ (পরিপূর্ণ)
লক্ষ্য নিয়ে একটা ‘Wave’ (তরঙ্গ) চলছে বা লীলা চলছে আর আমরা নিজের নিজের ‘Wave’
(তরঙ্গ) স্বার্থ তাঁর ঘাড়ে চাপাতে চাইছি । এতে ‘Center’ (কেন্দ্রের) এর
সঙ্গে ‘Province’ (রাজ্যের) এর ‘Clash’ (সংঘাত) হচ্ছে । এখন ‘Center,
Absolute center’ (কেন্দ্র পূর্ণ-কেন্দ্রীয় সত্য) এর সঙ্গে এই ‘Province’
(রাজ্যে) এরা যে সব কল্পিত করছে আমার সেটা ঠিক নয় । সব তাঁর—‘ঈশাবাস্যমিদং
সর্ব্বং... ....' । হেগেল সাহেব যেমন বলেছেন...‘For itself’ (তাঁর নিজের
জন্য) । ‘Reality is by itself and for itself’ (পরিপূর্ণ বাস্তব সত্য
স্বয়ং সস্পূর্ণ এবং নিজে নিজের জন্যই) । এটা বলতেই হবে মূল তত্ত্ব নিজেই
নিজের স্রষ্টা ; তাঁকে যদি অন্য কেউ সৃষ্টি করে তবে সে বড় হবে । অতএব
বৃহত্তম বস্তু তিনি নিজেই আছেন অর্থাৎ ‘স্বয়ম্ভূ’ তিনি নিত্য । আরো বলতে
হবে ‘Reality is for it self’ পূর্ণসত্য তাঁর নিজের জন্যই আছেন । যদি আর
কারো সন্তোষের জন্য তাঁর সত্তা হয় তাহলে যার সন্তোষের জন্য তাঁর সত্তা সে বড়
হবে । তাহলে ‘Reality’ হতে গেলে, বাস্তব বস্তু হতে গেলে তাঁরই জন্য
সব । একটা তৃণ নড়লেও ভগবানের সন্তোষের জন্য । প্রত্যেক ‘Part’ (অংশ)
তাঁর সেবার জন্য এইটাই হল বাস্তব । আর প্রত্যেক ‘Part’ (অংশ) নিজে প্রভু
হয়ে আসে পাশে সব ‘Exploit’ (শোষণ, ভোগ) করতে থাকলেই সেটা মায়া, মিথ্যা ।
কিন্তু বাস্তব সেটা ‘Allow’ গ্রাহ্য করবে না, সে
তার ফলে সংঘাতে মারা পড়ে যাবে । সেই ‘Plan’ (স্তর) এ যে ‘Wave’ (তরঙ্গ)
তাকে বলছে ‘ভক্তি’ ‘স বৈ পুংসাং পরোধর্ম্মো যতো ভক্তিরধোক্ষজে’ যদিও সেটা
‘Unseen’ (অদৃশ্য) তাহলেও সেইযে ‘Vibration’ (তরঙ্গপ্রবাহ) সেটা এমন অহৈতুকী
তাকে কেউ সৃষ্টি করেনি, কোন কারণ নেই তার আর অপ্রতিহত, তাকে কেউ বাধা দিতে পারবে
না । ‘Eternal’ (নিত্য) যে ‘Wave’ (তরঙ্গ) চলছে তাঁর সঙ্গে তোমার
ক্ষুদ্রস্বার্থ দিতে গেলে সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে, কোথায় ভেসে চলে
যাবে । সুতরাং সেই যে ‘Universal’ ‘Wave’ (অনন্তের তরঙ্গ) চলছে তার সঙ্গে
তুমি একীভূত হবার চেষ্টা কর । সেই তালে নাচতে শেখ, তাহলে তোমার আর কোন
অসুবিধা হবে না ।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর একসময় উতঙ্ক বলে এক
ঋষির সঙ্গে কৃষ্ণের দেখা হলে পরে সে বলল, “কৃষ্ণ আমি তোমায় অভিসম্পাত করব, কেননা
তুমি এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কারণ । এই বিধবার হাহাকার আর পিতৃহীন
বালকদের ক্রন্দন এই সবই তোমার দোষ । তুমি এই সব করেছ, তাই আমি তোমায়
অভিসম্পাত করব ।” তখন কৃষ্ণ বললেন, “ব্রাহ্মণ তুমি বহু তপস্যা করে যে ফল,
পুণ্যসঞ্চয় করেছ, তা সব চলে যাবে, আমার কিছুই হবে না, কেননা আমি নির্গুণে
অবস্থিত । নির্গুণ অর্থাৎ যে ‘Wave’ (তরঙ্গ) কে কেউ পরিবর্ত্তন করতে পারে
না, সেই ‘Wave’ (তরঙ্গ) এর সঙ্গে আমার মিল । নির্গুণ মানে ‘Negative’ (নেতি
বাচক) নয়, নির্গুণ মানে নির্ব্যাধি আর গুণ মানে সত্ত্ব, রজ ও তম মায়ার তিনটি
গুণ । মায়া হল ব্যাধিজাতীয় জিনিষ, আর নির্গুণ ‘Positive’ (ইতিবাচক) ।
নির্গুণ মানে নিরোগ, আর সগুণ মানে ব্যাধিযুক্ত ; মায়া যুক্ত । কিন্তু আমি
নির্গুণ অর্থাৎ কোন রকম ‘Provincial’ (ক্ষুদ্র গণ্ডীর) বা ‘Separate interest’
(পৃথক স্বার্থে) এর ‘Under’ (অধীনে) নই । আমার যে নাচ চলছে, আমি যা করছি,
তাহচ্ছে নির্গুণ ।"
যদি কেউ স্বার্থপর হয়ে কাজ না করে, সেই
‘Universal wave’ (অনন্তের তরঙ্গ) এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শেখ, তাতে তার
দু-চার হাজার ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস করেও কিছুই হয় না । পুলিশ যদি সরকারের
স্বার্থে খুন করে, তার জন্য সে পুরস্কার পায়, আর যদি নিজে ঘুষ খাবার জন্য দুটো
পয়সা পকেটে পুরে তাহলে দণ্ডনীয় হবে । তেমনি ‘Universal Interest’ (বৃহত্তর
স্বার্থ) যেটা চলছে মঙ্গলময় ‘Absolute good’ (পরম সত্য) তাঁর যে ‘Wave’ (তরঙ্গ)
চলছে তারই সঙ্গে তালমিলিয়ে চলাটাই নির্গুণ ভূমিকা । আর তাঁর সঙ্গে খাপ
খাবেনা এমন যদি কোন উল্টো রকমের ‘Wave’ (তরঙ্গ) আসে, তাহলে সেগুলি চুরমার হয়ে
কোথায় বিলীন হয়ে যাবে, তার কোন ঠিক নাই । সুতরাং তুমি সেই নির্গুণ ভুমিকায়
গিয়ে তাঁর সঙ্গে তাল দিতে শেখ । যে ‘Highest Center’ (সর্ব্বোচ্চ কেন্দ্র)
যাঁর ইচ্ছায়, যাঁর জন্য এই সব তাঁরই সুখের জন্য সেই কেন্দ্রীয় সুখের জন্য চেষ্টা
কর, তাহলে তুমি সবচেয়ে বেশী লাভবান হবে । তোমার ‘Individual position’
(ব্যক্তিগত মানবাধিকার) সবচেয়ে বেশী লাভবান হতে পারে, যদি তুমি সেই তালে নাচতে
শেখ, চলতে শেখ তাহলে তুমি সুখ পাবে ও সবাইকে সুখ দিতে পারবে । সেই ‘Center’
(কেন্দ্র) এই রকম যেন দৃষ্টান্ত দিয়েছেন, আমাদের শাস্ত্রে আছে বেদাদি
শাস্ত্রে—
যস্মিন জ্ঞাতে সর্ব্বমিদং বিজ্ঞাতং ভবতি
যস্মিন প্রাপ্তে সর্ব্বমিদং প্রাপ্তম্ ভবতি
তদ্ বিজিজ্ঞাসস্ব তদেব ব্রহ্ম ।
যাঁকে জানলে সব জানা হয়, যাঁকে পেলে সব পাওয়া হয়,
তাঁকে অনুসন্ধান কর তিনিই ব্রহ্ম । বেদান্তে ‘অথাতো ব্রহ্ম
জিজ্ঞাসা ।’ প্রথমেই আমরা ব্রহ্মজিজ্ঞাসা করব কেন ? ‘জন্মাদস্য যতঃ’
… । জন্ম, স্থিতি ও ভঙ্গ যেখান থেকে হচ্ছে অর্থাৎ আমাদের উৎপত্তি, স্থিতি ও
ভঙ্গ যেখান থেকে যাঁর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সেই ‘Cause’ (কারণ) টা আমরা
জানব । আমরা কোথায় আছি, আমরা কে, আমাদের কি ‘Position' (অধিকার) এসব জানার
চেষ্টা করব । একটা 'Town' (শহর)-এ গিয়ে ‘Civic Law’ (সভ্য আইন) টা জানার
চেষ্টা কর, কোথায় রাস্তা, কোথায় গাড়ী ইত্যাদি না জানলে ভয়ানক অসুবিধা হবে তেমনি
যেখানে বাস করছ এ-জগতে সেখানকার 'Rules Regulation' (নিয়ম কানুন) গুলি একটু
বোঝ । কে তুমি, কোথা হতে এলে, কে তোমায় রেখেছে এবং কোথায় তোমাকে শেষ কালে
প্রবেশ করতে হচ্ছে এগুলি তোমার তো জানা উচিত, নিজের ‘Interest’
(স্বার্থ)-এ—‘ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ।’
এতে যার বিশ্বাস হলো তাকে বলে শ্রদ্ধা ‘Faith’
(বিশ্বাস) চৈতন্য চরিতামৃতে বলেছেন—
শ্রদ্ধা শব্দে বিশ্বাস কহে সুদৃঢ় নিশ্চয় ।
কৃষ্ণে ভক্তি কৈলে সর্ব্ব-কর্ম্ম কৃত হয় ॥
—অর্থাৎ একটি জিনিস আছে যাঁর প্রতি কর্ত্তব্য
করলে আমার সব করা হয়ে যায় । গীতায় যেমন বলেছেন—
“সর্ব্বধর্ম্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ।
অহং ত্বাং সর্ব্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ ॥
ভগবান বলেছেন, "আমার ‘Position’ (অধিকার) টা বোঝ,
শুধু অধর্ম্মই নয়, ধর্ম্ম বলতে যা কিছু বোঝ সব ছেড়ে দাও, সব ধর্ম্ম ছেড়ে দাও,
ভাল মন্দ সব রকমের ‘Duty’ (কর্ত্তব্য) ছেড়ে দাও, শুধু আমার দিকে আস’ কিছু ভাবতে
হবে না আমি সব সামলাব ।" কেউ বলতে পারেন এটা কেমন করে হয় ? দৃষ্টান্ত
দিয়ে বুঝিয়েছেন—
“যথা তরোর্মূলনিষেচনেন
তৃপ্যন্তি তৎস্কন্ধভুজোপশাখাঃ ।
প্রাণোপহারাচ্চ যথেন্দ্রিয়াণাং
তথৈব সর্ব্বার্হণমচ্যুতেজ্যা ॥”
(ভাঃ ৪/৩১/১৪)
অর্থাৎ গাছের মূলে জল দিলে তার ডাল-পালা সকলেরই খাওয়া হয়, পেটে খাদ্য দিলে যেমন সমস্ত শরীরের কাজ হয় তেমনি স্বয়ং ভগবানের সেবার দ্বারা সব কর্ত্তব্যই সম্পাদন হয় । সুতরাং ভগবানের ‘Position’ (অধিকার) এরকম ।
|
সূচীপত্র:
শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গ-প্রণতি
নম্র নিবেদন
প্রণতি-দশকম্
শ্রীগুরু আরতি-স্তুতি
শ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ সম্পর্কে
১। আত্মতত্ত্ব ও ভগবৎ-তত্ত্ব
২। জীবের চরম প্রাপ্তি
৩। সমস্যা ও সমাধান
৪। পরমার্থ লাভের পন্থা
৫। বন্ধন মুক্তির উপায়
৬। বৈষ্ণব জীবনে আনুগত্য
৭ । ধর্ম্ম শিক্ষা ও বিশ্বাস
৮ । শ্রীশরণাগতি
৯ । বজীবের স্বাধীন ইচ্ছার নিশ্চয়াত্মক স্বার্থকতা
১০ । সর্ব্বাবস্থায় ভগবানের কৃপাদর্শনেই প্রকৃত সুখ লাভ
১১ । মানব জীবনের কর্ত্তব্য
১২ । ভগবানের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়
১৩ । আগুন জ্বালো, বাতাস আপনি আসবে
১৪ । মা মুঞ্চ-পঞ্চ-দশকম্
PDF ডাউনলোড (26.7 Mb)
|