আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

শ্রীশ্রীপ্রভুপাদপদ্ম-স্তবকঃ

(শ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ বিরচিত)

সুজনার্ব্বুদরাধিতপাদযুগং
যুগধর্ম্মধুরন্ধর-পাত্রবরম্ ।
বরদাভয়দায়ক-পূজ্যপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥১॥

ভজনোর্জ্জিতসজ্জনসঙ্ঘপতিং
পতিতাধিককারুণিকৈকগতিম্ ।
গতিবঞ্চিতবঞ্চকাচিন্ত্যপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥২॥

অতিকোমলকাঞ্চনদীর্ঘতনুং
তনুনিন্দিতহেমমৃণালমদম্ ।
মদনার্ব্বুদবন্দিতচন্দ্রপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৩॥

নিজসেবকতারকরঞ্জিবিধুং
বিধুতাহিত-হুঙ্কৃতসিংহবরম্ ।
বরণাগতবালিশ-শন্দপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৪॥

বিপুলীকৃতবৈভবগৌরভুবং
ভুবনেষু বিকীর্ত্তিত-গৌরদয়ম্ ।
দয়নীয়গণার্পিত-গৌরপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৫॥

চিরগৌরজনাশ্রয়বিশ্বগুরুং
গুরুগৌরকিশোরকদাস্যপরম্ ।
পরমাদৃতভক্তিবিনোদপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৬॥

রঘুরূপসনাতনকীর্ত্তিধরং
ধরণীতলকীর্ত্তিতজীবকবিম্ ।
কবিরাজ-নরোত্তমসখ্যপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৭॥

কৃপয়া হরিকীর্ত্তনমূর্ত্তিধরং
ধরণীভরহারক-গৌরজনম্ ।
জনকাধিকবৎসলস্নিগ্ধপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৮॥

শরণাগতকিঙ্করকল্পতরুং
তরুধিক্কৃতধীরবদান্যবরম্ ।
বরদেন্দ্রগণার্চ্চিতদিব্যপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥৯॥

পরহংসবরং পরমার্থপতিং
পতিতোদ্ধরণে কৃতবেশযতিম্ ।
যতিরাজগণৈঃ পরিসেব্যপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥১০॥

বৃষভানুসুতাদয়িতানুচরং
চরণাশ্রিত-রেণুধরস্তমহম্ ।
মহদদ্ভুতপাবনশক্তিপদং
প্রণমামি সদা প্রভুপাদপদম্ ॥১১॥

শ্রীশ্রীপ্রভুপাদপদ্মস্তবকের বঙ্গানুবাদ

কোটি কোটি সুজনকর্ত্তৃক আরাধিত শ্রীপাদপদ্মযুগ, (কৃষ্ণসঙ্কীর্ত্তনরূপ) যুগধর্ম্মসংস্থাপক, (বিশ্ববৈষ্ণবরাজসভার) পাত্ররাজ, (নিখিল জীবের) ভয়হরণকারিগণের মনোঽভীষ্টপ্রদাতা সর্ব্বপূজ্য শ্রীপাদপদ্মে আমি প্রণাম করি—আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥১॥

ভজনসমৃদ্ধ সুজনগণের অধিপতি, পতিতজনের প্রতি অধিক করুণাময় ও তাঁহাদের একমাত্র গতি এবং কঞ্চকগণের বঞ্চনাকারী গতিবিশিষ্ট অচিন্ত্যচরণে আমি প্রণাম করি—আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥২॥

অতি কোমল সুবর্ণবর্ণ দীর্ঘতনুকে আমি প্রণাম করি—যাঁহার তনু কর্ত্তৃক স্বর্ণময় মৃণালের মত্ততা নিন্দিত হইতেছে । কোটি কোটি মদন কর্ত্তৃক বন্দিত নখচন্দ্রসমূহ যে শ্রীগুরুপাদপদ্মের শোভা বিস্তার করিতেছে, আমার প্রভুর সেই পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৩॥

তারকরঞ্জন চন্দ্রের ন্যায় যিনি নিজ সেবকমণ্ডলে পরিবেষ্টিত হইয়া তাঁহাদের চিত্ত প্রফুল্লিত করিয়া থাকেন, ভক্তিদ্বেষিগণ যাঁহার হুঙ্কারে বিদ্রাবিত হয় এবং নিরীহ জনগণ যাঁহার পাদপদ্ম বরণ করিয়া পরম কল্যাণ লাভ করেন, তাঁহাকে প্রণাম করি; আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৪॥

যিনি শ্রীগৌরধামের বিপুল বৈভবশোভা প্রকাশ করিয়াছেন, শ্রীগৌরাঙ্গের মহাবদান্যতার কথা যিনি নিখিল ভুবনে বিঘোষিত করিয়াছেন এবং নিজ কৃপাভাজন জনের হৃদয়ে যিনি শ্রীগৌরপাদপদ্ম প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন, তাঁহাকে প্রণাম করি; আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৫॥

যিনি গৌরাশ্রিত জনগণের নিত্য আশ্রয়স্থল ও গজদ্­গুরু, যিনি নিজ গুরু শ্রীগৌরকিশোরের সেবাপরায়ণ এবং যিনি শ্রীভক্তিবিনোদ ঠাকুরের সম্বন্ধমাত্রে পরমাদরবিশিষ্ট, তাঁহাকে প্রণাম করি, আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৬॥

যিনি শ্রীরূপসনাতন ও রঘুনাথের কীর্ত্তকেতন উত্তোলন করিয়া বিরাজমান, এই ধরণীতলে যাঁহাকে পাণ্ডিত্যপ্রতিভাময় শ্রীজীবের অভিন্নতনু বলিয়া অনেকে কীর্ত্তন করিয়া থাকেন এবং যিনি শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ ও ঠাকুর নরোত্তমের সমপ্রাণ বলিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন, তাঁহাকে প্রণাম করি; আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৭॥

জীবের প্রতি কৃপা করিয়া যিনি মূর্ত্তিমান্ হরিকীর্ত্তন-স্বরূপে প্রকাশিত, ধরণীর অপরাধভার-বিদূরণকারী শ্রীগৌরপার্ষদ এবং জীবের প্রতি জনকাপেক্ষাও অধিক বাৎসল্যের সুকোমল আকরকে আমি প্রণাম করি; আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৮॥

শরণাগত কিঙ্করগণের (অভীষ্টপ্রদানে) যিনি কল্পতরুসদৃশ, কৃক্ষকেও ধিক্কারকারী যাঁহার বদান্যতা ও সহিষ্ণুতা এবং বরদশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণও যাঁহার দিব্য শ্রীপাদপদ্মের পূজা করিয়া থাকেন, তাঁহাকে প্রণাম করি; আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥৯॥

পরমহংসকুলতিলক, পরমপুরুষার্থ শ্রীকৃষ্ণপ্রেমসম্পত্তিক যিনি অধিপতি, পতিতকুলের উদ্ধার নিমিও যিনি যতিবেশ (ভিক্ষুবেশ) ধারণকারী এবং শ্রেষ্ঠ ত্রিদণ্ডী যতিগণ যাঁহার শ্রীপাদপদ্ম সেবা করিতেছেন, তাঁহাকে প্রণাম করি, আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥১০॥

যিনি শ্রীবৃষভানুনন্দিনীর পরম প্রিয় অনুচর, যাঁহার শ্রীচরণরেণু আমি মস্তকে ধারণ করিবার সৌভাগ্যের অভিমান করিতেছি, সেই অদ্ভুত পারনীশক্তিসম্পন্ন শ্রীপাদপদ্মে আমি প্রণাম করি—আমার প্রভুর পদনখজ্যোতিঃপুঞ্জকে আমি নিত্যকাল প্রণাম করি ॥১১॥

 


 

← গ্রন্থাগারে ফিরে

অনলাইনে শুনতে:

ডাউনলোড (3 Mb)

 


 

সূচীপত্র:
আমার জীবন সদা
অক্রোধ পরমানন্দ
অরুণ বসনে
আত্মনিবেদন, তুয়া পদে
বড় সুখের খবর গাই
ভয়ভঞ্জন-জয়শংসন
বজহুঁরে মন
ভজ রে ভজ রে আমার
ভুলিয়া তোমারে
বিমল হেমজিনি
দশাবতারস্তোত্রম্
ধন মোর নিত্যানন্দ
দুর্লভ মানব জন্ম
এইবার করুণা কর
এ ঘোর সংসারে
এমন দুর্ম্মতি
গায় গোরা মধুর স্বরে
গোপীনাথ মম নিবেদন শুন
গুরুদেব! বড় কৃপা করি
গুরুদেব! কৃপাবিন্দু দিয়া
শ্রীমদ্ভক্তিবিনোদবিরহদশকম্ (হা হা ভক্তিবিনোদঠক্কুর)
হরি হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ
হরি হে দয়াল মোর
হে দেব ভবন্তং বন্দে
জনম সফল তা'র
জয় গুরু-মহারাজ (শ্রীগুরু আরতি-স্তুতি)
জয় গুরু মহারাজ করুণাসাগর (শ্রীশ্রীনিতাই-চৈতন্য-আরতি)
জয় জয় গুরুদেব করুণাসাগর (শ্রীগুরু-শ্রীগৌর-শ্রীনিত্যানন্দ-আরতি)
জয় জয় গুরুদেবের (শ্রীগুরু-আরতি)
জয় জয় গোরাচাঁদের (গৌর-আরতি)
জয় রাধামাধব
জয় রাধে, জয় কৃষ্ণ
জয়রে জয়রে জয় পরমহংস
জয় শচীনন্দন সুর-মুনিবন্দন
শ্রীনৃসিংহ, জয় নৃসিংহ, জয় জয় নৃসিংহ
কবে হবে বল সে দিন আমার
কবে শ্রীচৈতন্য মোরে
কে যাবি কে যাবি
কি জানি কি বলে
কিরূপে পাইব সেবা
কৃপা কর বৈষ্ণব ঠাকুর
মানস দেহ গেহ
নমো নমঃ তুলসী মহারাণি
নিতাই আমার দয়ার অবধি
নিতাই গুণমণি আমার
নিতাই পদ-কমল
মন, তুমি তীর্থে সদা রত
মানস দেহ গেহ
ময়ূর-মুকুট
পরম করুণ
রাধা ভজনে যদি
করাধাকুণ্ডতট
রাধে রাধে গোবিন্দ
রাধিকা চরণ পদ্ম
সংসার-দাবানল (শ্রীগুর্ব্বষ্টকম্)
শ্রীগৌর-মণ্ডল মাঝে
শ্রীগুরুচরণ-পদ্ম
শ্রীগুরুপরম্পরা
শ্রীহরি-বাসরে হরি
শ্রীল-রঘুনাথদাস-গোস্বামি-শোচক
শ্রীমদ্রূপগোস্বামি-প্রভুর শোচক
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু জীবে
শ্রীরূপমঞ্জরী-পদ
শ্রীশ্রীষড়্­গোস্বাম্যষ্টকম্
শ্রীশ্রীদামোদরাষ্টকম্
শ্রীশ্রীমদ্­গৌরকিশোরনমস্কারদশকম্
শুদ্ধ ভকত-চরণ-রেণু
সুজনার্ব্বুদরাধিতপাদযুগং
শুনহে রসিক জন
ঠাকুর বৈষ্ণবগণ
বৈষ্ণব কে ?
বৈষ্ণব ঠাকুর দয়ার
বন্দনা
বরজ-বিপিনে যমুনা কুলে
যদি, গৌর না হ'ত
যশোদা-নন্দন কৃষ্ণ
যশোমতীনন্দন
যে আনিল প্রেমধন (বিরহ-গীতি)

দশবিধ নামাপরাধ

বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥