![]() |
|||||||
| |||||||
|
|||||||
শ্রীপুরীধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যকে উদ্ধার করার পর মহাপ্রভু তাঁকে ভগবানের সেবায় লাগিয়ে দিলেন । সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের জগন্নাথদেবের মন্দিরে বড় চাকরি ছিল—তিনি সব ব্যবস্থা করতেন কিন্তু মন্দিরে প্রসাদ পেতেন না । যেহেতু তাঁর প্রসাদে ভক্তি, প্রসাদে রুচি ছিল না, সেহেতু তিনি জগন্নাথ প্রসাদ না খেয়ে বাড়িতে সব সময় খেতেন । মহাপ্রভু ভাবলেন, “সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের জন্য প্রসাদে রুচি আনতে হবে ! মহাপ্রসাদটা কত সুস্বাদু ! তা না খেলে উনি সেটা কি করে বুঝবে ?” তাই এক দিন মহাপ্রভু জগন্নাথ মন্দিরে মঙ্গলারতিতে গিয়েছিলেন আর তারপর সেখানে কিছু প্রসাদ নিয়ে চট্ করে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের বাড়িতে এসে হাজির হলেন । মহাপ্রভু চিৎকার করে বললেন, “সার্বভৌম ! বাড়িতে আছ ?” সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য তো তখন ঘুমাচ্ছিলেন আর মহাপ্রভুর আত্তয়াজ পেয়ে হঠাৎ করে বিছানায় উঠে বসে বললেন, “প্রভু, তুমি এই অসময় ?...” “তুমি উঠেছ ?” “হ্যাঁ, উঠেছি... কিন্তু এত সকলবেলা তুমি এখানে কেন ?” মহাপ্রভু বললেন, “আমি তোমার জন্য জগন্নাথের প্রসাদ নিয়ে এসেছি !” “তবে আমি এখন পর্যন্ত দাঁত মাজি নি, মুখ ধুইও নি…” “জগন্নাথের প্রসাদ পেতে গেলে দাঁত মাজতে হয় না, মুখ ধুতেও হয় না !” “তাই নাকি….” “হ্যাঁ ! প্রসাদটা তুমি নাও ।” তখন সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য কী করবেন ? আর কোন উপায় নেই—তিনি প্রসাদ গ্রহণ করলেন আর বিস্মিত হয়ে বললেন, “আরে! এটা তো খুব ভালো ! আমি জীবনে কল্পনা করতে পারতাম না যে, প্রসাদ এত মিষ্টি হতে পারে !” সেই দিন থেকে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি হল ।
|
অনন্তশ্রীবিভূষিত ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংসকুলচূড়ামণি বিশ্ববরেণ্য জগদ্গুরু শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের পদ্মমুখের হরিকথামৃত
সূচীপত্র
সূচনা : |
||||||
বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥ | |||||||
© Sri Chaitanya Saraswat Math, Nabadwip, West Bengal, India. For any enquiries please visit our contact page. |