আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

শ্রীপুরীধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা


সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি

 

সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যকে উদ্ধার করার পর মহাপ্রভু তাঁকে ভগবানের সেবায় লাগিয়ে দিলেন ।

সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের জগন্নাথদেবের মন্দিরে বড় চাকরি ছিল—তিনি সব ব্যবস্থা করতেন কিন্তু মন্দিরে প্রসাদ পেতেন না । যেহেতু তাঁর প্রসাদে ভক্তি, প্রসাদে রুচি ছিল না, সেহেতু তিনি জগন্নাথ প্রসাদ না খেয়ে বাড়িতে সব সময় খেতেন ।

মহাপ্রভু ভাবলেন, “সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের জন্য প্রসাদে রুচি আনতে হবে ! মহাপ্রসাদটা কত সুস্বাদু ! তা না খেলে উনি সেটা কি করে বুঝবে ?”

তাই এক দিন মহাপ্রভু জগন্নাথ মন্দিরে মঙ্গলারতিতে গিয়েছিলেন আর তারপর সেখানে কিছু প্রসাদ নিয়ে চট্ করে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের বাড়িতে এসে হাজির হলেন ।

মহাপ্রভু চিৎকার করে বললেন, “সার্বভৌম ! বাড়িতে আছ ?”

সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য তো তখন ঘুমাচ্ছিলেন আর মহাপ্রভুর আত্তয়াজ পেয়ে হঠাৎ করে বিছানায় উঠে বসে বললেন, “প্রভু, তুমি এই অসময় ?...”

“তুমি উঠেছ ?”

“হ্যাঁ, উঠেছি... কিন্তু এত সকলবেলা তুমি এখানে কেন ?”

মহাপ্রভু বললেন, “আমি তোমার জন্য জগন্নাথের প্রসাদ নিয়ে এসেছি !”

“তবে আমি এখন পর্যন্ত দাঁত মাজি নি, মুখ ধুইও নি…”

“জগন্নাথের প্রসাদ পেতে গেলে দাঁত মাজতে হয় না, মুখ ধুতেও হয় না !”

“তাই নাকি….”

“হ্যাঁ ! প্রসাদটা তুমি নাও ।”

তখন সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য কী করবেন ? আর কোন উপায় নেই—তিনি প্রসাদ গ্রহণ করলেন আর বিস্মিত হয়ে বললেন, “আরে! এটা তো খুব ভালো ! আমি জীবনে কল্পনা করতে পারতাম না যে, প্রসাদ এত মিষ্টি হতে পারে !”

সেই দিন থেকে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি হল ।

 


 

← কালিদাসের ব্যতিক্রম “ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !” →

 

অনন্তশ্রীবিভূষিত ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংসকুলচূড়ামণি বিশ্ববরেণ্য জগদ্­গুরু শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের পদ্মমুখের হরিকথামৃত


ডাউনলোড


 

সূচীপত্র

সূচনা :
শ্রীজগন্নাথদেব
মহাপ্রভুর ইচ্ছা ও পুরীতে যাত্রার আরম্ভ
মহাপ্রভুর পুরীতে যাত্রা :
শান্তিপুর
রেমুণা
সাক্ষীগোপাল
ভুবনেশ্বর
ভুবনেশ্বর শ্রীলিঙ্গরাজ
আঠারনালা
শ্রীপুরীধামে :
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের সথে মিলন
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের শিক্ষা
কাশী মিশ্রের কথা
রামানন্দ রায়ের পুনর্মিলন ও প্রকৃতি
ভক্তদের সহিত শ্রীক্ষেত্রে বার্ষিক মিলন
রাজা প্রতাপরুদ্রের প্রতি কৃপা
গোবিন্দ প্রভুর শিক্ষা
দর্শনের আর্ত্তি
শ্রীআলালনাথের কথা
কালিদাসের ব্যতিক্রম
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি
“ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !”
গঙ্গা মাতা গোস্বামিণী
শ্রীগোপাল গুরুর কথা
শ্রীজগদানন্দ পণ্ডিতের প্রেম
শ্রীলসনাতন গোস্বামীর সঙ্গ
রামচন্দ্র পুরীর কথা
শ্রীপরমানন্দ পুরীর ভক্তিকূপ
দামোদর পণ্ডিতের বিদায়
ছোট হরিদাসের শাস্তি
গুণ্ডিচা-মার্জ্জন লীলা
শ্রীনারায়ণ ছাতায়
চটকপর্ব্বতের কথা
গম্ভীরা—বিরহের জ্বলন্ত ঘর
শ্রীল হরিদাসঠাকুর : নামাচার্য্য শিরোমণি
শ্রীগদাধর পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া
শ্রীরঘুনাথদাস গোস্বামীর শ্রীপুরীধামে আগমন ও ভজন
পরিশেষ

বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥