আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

শ্রীপুরীধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা


শ্রীনারায়ণ ছাতায়

 

গুরুদং গ্রন্থদং গৌরধামদং নামদং মুদা ।
ভক্তিদং ভূরিদং বন্দে ভক্তিবিনোদকং সদা ॥

 

শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাশয় উলা বা বীরনগর গ্রামে (নদিয়া জেলায়) আবির্ভূত হয়ে জীবনে অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন । চাকরির জন্য তিনি অনেক নগরে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন আর তারমাঝে ১৮৭০ সালে তিনি শ্রীপুরীধামেও এলেন । ওই সময় তিনি নারায়ণ ছাতায় বসা বাস করতেন ।

পুরীতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত ভাবে থাকতেন । তিনি প্রথমে শ্রীজগন্নাথ বল্লভ উদ্যানের বাড়িতে ভাগবত পাঠ সভা স্থাপন করে পণ্ডিতগণের সঙ্গে গ্রন্থ পাঠ করতে শুরু করলেন । প্রতি দিন তিনি জগন্নাথদেবের দর্শন, নাম-কীর্ত্তন, সাধুসঙ্গের জন্য শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে যেতেন । ওই সময় পুরীতে অনেক মায়াবাদী ও অপ-সম্প্রদায়িক লোক ছিল বলে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর সব সময় বৈষ্ণবগণকে খোঁজ করতেন আর তাঁর সঙ্গে থাকতে চেষ্টা করতেন । যখন তিনি ভাগবৎ পাঠ সভাটা স্থাপন করলেন, তখন অনেক পণ্ডিতগণ তাঁর কাছে যেতেন আর সব মায়াবাদী ও অপসম্প্রদায়িক লোক তার জন্য বিরক্ত হল ।

শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাশয় লিখেছেন, “শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দিরে যেরূপ উচ্চ ও মনোহারী সেবা ও তদ্রূপ অপরূপ । যে লীলাও দর্শন করা যায় তাহাই চিত্তকে মুগ্ধ করে । সন্ধ্যা আরাত্রিক প্রভৃতি দৈনন্দিন উৎসব প্রত্যহই ৫-৭ শত লোক উপস্থিত থাকেন । কি আনন্দ । পর্ব্ব যাত্রায় নানাবিধ যাত্রী সমস্ত ভারত হইতে আসিতে থাকে ; দেখিলে চক্ষু জুড়াইয়া যায় । তুমি যখন শুদ্ধ চিত্তে সে সব লীলা দর্শন করিবে তখনই কি ব্যাপার তাহা বুঝিতে পারিবে ।”

শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুরের পরম দানের সম্বন্ধে শ্রীলভক্তি রক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ এই শ্লোকটা রচনা করেছেন :

গুরুদং গ্রন্থদং গৌরধামদং নামদং মুদা
ভক্তিদং ভূরিদং বন্দে ভক্তিবিনোদকং সদা

গুরুদং । শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর আমাদের গুরু দিয়েছেন । আসলে যদি তিনি আমাদের শ্রীলভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর না দিতেন, তখন কোথায় আমরা আশ্রয় পেতাম ? কার চরণে আমরা আশ্রয় গ্রহণ করতাম ?

শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর অনেক জায়গায় উড়িষ্যা বা পশ্চিমবঙ্গে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন । আস্তে আস্তে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, মহাপ্রভুর শুদ্ধ ভক্তি, শুদ্ধসিদ্ধান্ত প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল—মহাপ্রভুর পর আউল, বাউল, কর্তাভজা, নেড়া, দরবেশ, সহজিয়া, জাত-গোসাঞি সব জগতে ঘুরে বেড়াত । তাই শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর তাঁর স্ত্রীর সাথে ভগবতীদেবী জগন্নাথ মন্দিরের বিমলাদেবীর কাছে গিয়ে প্রার্থনা করলেন, “হে দেবী ! তুমি একজনকে পাঠাও যে এই শুদ্ধ ভক্তির সিদ্ধান্ত প্রবাহিত করতে পারবে !” বিমলাদেবী কৃপা করে ভক্তিবিনোদ ঠাকুরকে সন্তানই দিলেন—তাঁর নাম হয়েছিল বিমলা প্রসাদ ।

বিমলা প্রসাদ আবির্ভূত হয়ে কয়েকমাস পর রথ-যাত্রা ছিল । সেই দিন যখন জগন্নাথের রথ যাচ্ছিল, তখন রথটা শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুরের বাড়ির সামনে (সেই নারায়ণ ছাতায়ই) এসে থেমে গেল । শ্রীজগন্নাথদেবও চান তাঁর ভক্তের সঙ্গে দেখা করতে । সব ভক্তগণ জোর করে রথটা টানতে শুরু করলেন কিন্তু রথটা কিছুতেই যাচ্ছিল না । তখন শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর তাঁর সন্তান বিমলা প্রসাদকে নিয়ে শ্রীরথে মাথা তাকিয়ে দিলেন । হঠাৎ করে জগন্নাথদেবের গলার মালা বাচ্চার গলায় পড়ল আর রথটা তখন চলতে শুরু করল । সেই বিমলা প্রসাদ পরে শ্রীভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর হয়েছেন আর তিনি পরে সর্ব্ব দেশে এমনকি বিদেশেও প্রচার করতেন এবং ৬৪টি মঠ স্থাপন করেছিলেন ।

(এখনও, প্রতি বছর হয় না, কিন্তু মাঝে মাঝে যাত্রার সময় জগন্নাথদেবের রথটা সেই নারায়ণ ছাতায় এসে থেমে যায় ।)

শ্রীভক্তিনোদ ঠাকুরের ১৪ সন্তান ছিল । তার মধ্যে একজন শ্রীলভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের প্রতি একটু হিংসা করতেন । তিনি বললেন, “আমিও ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের পুত্র, কিন্তু বিমলা প্রসাদের এত শিষ্য, সম্মান, মঠ, মন্দির, বিশালতা—সব তার হয়ে গেল । আমি তার কিছু ভাগ পাব না কেন ?” তখন বিমলা প্রসাদ (শ্রীলপ্রভুপাদ) তাকে লিখেছেন, “বাবা বাধা রাধা । তুমি ভক্তিবিনোদ ঠাকুরকে শুধু বাবা বলেই দেখেছ তাই তোমার রাধারাণীকে পাওয়ার বাধা হয়ে গেল । তুমি রাধারাণীর কৃপা লাভ করতে পারলে না । কিন্তু আমি তাঁকে স্বয়ং রাধারাণীর জনের রূপে দেখেছি । এই চামড়া সম্পর্ক তোমার আছে আর আমার নেই ।”

সেইজন্য বলা হয় যে, শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাশয় আমাদের গুরু দিয়েছেন ।

গ্রন্থদং । শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর অনেক গ্রন্থ, অনেক গীতি-কবিতা, গ্রন্থভাষ্য, বক্তৃতা, প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন । প্রতি দিন আমরা যে সকাল-সন্ধ্যা কীর্ত্তন করি, সে প্রায় সমস্ত কীর্ত্তন তিনিই রচনা করেছিলেন (জীব জাগ, জীব জাগ, গোরাচাঁদ বলে ; যশোমতীনন্দন ব্রজবর নাগর ; জয় জয় গোরাচাঁদের আরতিক শোভা ; ইত্যাদি) । অনেক কীর্ত্তনগুলোও শরণাগতি থেকে আছে (সর্ব্বস্ব তোমার চরণে সঁপিয়া ; আত্মনিবেদন, তুয়া পদে করি’ ; আমার জীবন সদা পাপে রত ; এমন দুর্ম্মতি সংসার-ভিতরে ; কবে হবে বল, সে দিন আমার, ইত্যাদি) ।

গৌরদং । তিনি আমাদের গৌর দিয়েছেন । শ্রীলবাসুদেব ঘোষ লিখেছেন :

যদি গৌর না হ’ত তবে কি হইত
কেমনে ধরিতাম দে । class="sloka" রাধার মহিমা প্রেমরস-সীমা class="sloka" জগতে জানাত কে ? ॥

এইভাবেও যদি শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর না আসতেন, তখন কে আমাদের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সম্বন্ধে বলে দিতেন ? তিনি আমাদের গৌরহরি দান করেছিলেন ।

গৌরধামদং । শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর আমাদের শ্রীনবদ্বীপ ধাম দিয়েছেন ।

যখন শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর এই জগতে আবির্ভূত হয়েছেন, তখন অনেকই ভাবতেন যে মহাপ্রভুর জন্মস্থান গঙ্গায় হারিয়ে গিয়েছিল ।

এক দিন শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর তাঁর বাড়িতে ছাদের উপরে হরিনাম করছিলেন (তাঁর অভ্যাস ছিল এইরকম : যখন প্রায় সন্ধ্যাবেলা হত তখন তিনি ঘুমাতে যেতেন আর মধ্যরাত উঠে তিনি গ্রন্থ লিখতেন ও হরিনাম করতেন ।) ছাদে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু দূরে একটা অদ্ভুত আলো দেখতে পেলেন ।

পরের দিন তিনি ওখানে গিয়ে দেখলেন যে এটা খালি মাঠের মত জায়গা ছিল আর চারদিকে ওখানে অনেক তুলসী গাছ । তিনি লোককে স্থানটার নাম জিজ্ঞেস করলেন কিন্তু কেউ নামটা বলতে পারল না । তারা শুধু বললেন যে, তারা মাঠটা চাষ করতে চেষ্টা করেছেন কিন্তু কিছু হয় না, শুধু তুলসী গাছ উৎপন্ন হয় ।

শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর চিন্তা করলেন, “তুলসী গাছ এখানে কেন ?” তিনি নবদ্বীপে ফিরে শ্রীলজগন্নাথদাস বাবাজী মহারাজের কাছে এলেন । ওই সময় শ্রীলজগন্নাথদাস বাবাজী মহারাজের বয়স ১৩৭ বছর ছিল । শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “প্রভু, আপনি আমার সঙ্গে যাবেন ?” বয়স্ক হয়ে শ্রীলজগন্নাথদাস বাবাজী মহারাজ হাঁটতে পারতেন না, তাই তাঁর সেবক তাঁকে ঝুড়িতে বসিয়ে দিলেন আর ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁকে মাথায় বয়ে নিয়ে গেলেন । যখন শ্রীলজগন্নাথদাস বাবাজী মহারাজ ওই স্থানে পৌঁছে ছিলেন, তখন তিনি ঝুড়ির থেকে লাফ দিয়ে নাচতে শুরু করলেন ! তিনি চিৎকার করতে থাকলেন, “হ্যাঁ ! পেয়েছি ! এইটা প্রভুর জন্মস্থান ! এইটা যোগপিঠ !”

এইভাবে শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাপ্রভুর জন্মস্থান প্রকাশ করলেন ।

নামদং । তিনি আমাদের হরিনাম দিয়েছেন । মহাপ্রভু বলে দিয়েছেন :

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥
হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্ ।
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ॥

কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে মহাপ্রভুর পরে অনেক নাম-অপরাধী উৎপন্ন হয়ে গেল । অনেক অপসম্প্রদায় হরিনাম বিতরণ করতে শুরু করল কিন্তু তাঁদের হরিনাম ইচ্ছামত । শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর ভাবলেন, “নিত্যানন্দ প্রভু নামহট্ট স্থাপন করেছিলেন আর আমি এই নামহট্টে ঝাড়ুদার হব—ঝাড়ু দিয়ে আমি সম ভুল সিদ্ধান্ত নামহট্ট থেকে বিতাড়ন করব !” তিনি এটা ঘোষণা করে তাই করলেন ।

ভক্তিদং ভূরিদং । তিনি হচ্ছে সপ্তম গোস্বামী ।

মহাপ্রভু বৃন্দাবনে ছয় গোস্বামীকে পাঠিয়াছেন : শ্রীল রূপ গোস্বামী, শ্রীল সনাতন গোস্বামী, শ্রীল রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী, শ্রীল জীব গোস্বামী, শ্রীল গোপাল ভট্ট গোস্বামী এবং শ্রীল রঘুনাথ দাস গোস্বামী । মহাপ্রভু আদেশ দিলেনে যে, এই ছয় গোস্বামী বৃন্দাবনে গিয়ে মহাপ্রভুর মূলসিদ্ধান্ত প্রচার করবেন । আর তাঁরা সফল ছিলেন—তাঁরা মহাপ্রভুর অভীষ্ট সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধ করলেন ।

কিন্তু তারপর তাঁরা সব স্বধামে চলে গেলেন... কে তাঁদের পর প্রচার করবেন ? এক দিন শিশির ঘোষ লিখেছেন, “কে সপ্তম গোস্বামী হতে পারেন ? যদি এই জগতে ছয় গোস্বামীর পরে কেউ গোস্বামী হতে পারেন, তাহলে সেটা মাত্রই শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর হতে পারে ।”

শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুরের সম্বন্ধে আমরা অনেক কিছু বলতে পারি কিন্তু তাঁর মূল শিক্ষা তাঁর গ্রন্থের মধ্যেই আছে । যদি আপনারা তাঁর বইগুল পড়বেন, আপনারা বুঝতে পারবেন সনাতন-ধর্ম্ম বা জৈব-ধর্ম্ম কি বলা হয়, আমাদের সিদ্ধান্ত কী হয় ।

আমরা বুঝতে পারি যে, শ্রীলভক্তিবিনোদ ঠাকুর এই জগতে না আসতেন কোথায় ও কার কমলচরণে আমরা আশ্রয় পেতাম ? তিনি আমাদের এই সব দান দিয়েছেন, তিনি আমাদের শ্রীলভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর দিয়েছেন । যদি আপনারা চিন্তা করবেন, আপনারা বুঝতে পারবেন কত তিনি অমাদেরকে, পতিত অধম জীবকে, দিয়েছেন...

 


 

← গুণ্ডিচা-মার্জ্জন লীলা চটকপর্ব্বতের কথা →

 

অনন্তশ্রীবিভূষিত ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংসকুলচূড়ামণি বিশ্ববরেণ্য জগদ্­গুরু শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের পদ্মমুখের হরিকথামৃত


ডাউনলোড


 

সূচীপত্র

সূচনা :
শ্রীজগন্নাথদেব
মহাপ্রভুর ইচ্ছা ও পুরীতে যাত্রার আরম্ভ
মহাপ্রভুর পুরীতে যাত্রা :
শান্তিপুর
রেমুণা
সাক্ষীগোপাল
ভুবনেশ্বর
ভুবনেশ্বর শ্রীলিঙ্গরাজ
আঠারনালা
শ্রীপুরীধামে :
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের সথে মিলন
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের শিক্ষা
কাশী মিশ্রের কথা
রামানন্দ রায়ের পুনর্মিলন ও প্রকৃতি
ভক্তদের সহিত শ্রীক্ষেত্রে বার্ষিক মিলন
রাজা প্রতাপরুদ্রের প্রতি কৃপা
গোবিন্দ প্রভুর শিক্ষা
দর্শনের আর্ত্তি
শ্রীআলালনাথের কথা
কালিদাসের ব্যতিক্রম
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি
“ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !”
গঙ্গা মাতা গোস্বামিণী
শ্রীগোপাল গুরুর কথা
শ্রীজগদানন্দ পণ্ডিতের প্রেম
শ্রীলসনাতন গোস্বামীর সঙ্গ
রামচন্দ্র পুরীর কথা
শ্রীপরমানন্দ পুরীর ভক্তিকূপ
দামোদর পণ্ডিতের বিদায়
ছোট হরিদাসের শাস্তি
গুণ্ডিচা-মার্জ্জন লীলা
শ্রীনারায়ণ ছাতায়
চটকপর্ব্বতের কথা
গম্ভীরা—বিরহের জ্বলন্ত ঘর
শ্রীল হরিদাসঠাকুর : নামাচার্য্য শিরোমণি
শ্রীগদাধর পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া
শ্রীরঘুনাথদাস গোস্বামীর শ্রীপুরীধামে আগমন ও ভজন
পরিশেষ

বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥