![]() |
|||||||
| |||||||
|
|||||||
শ্রীপুরীধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা “ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !”
আমরা আগে বলেছিলাম যে, যখন মহাপ্রভু সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যকে উদ্ধার করলেন, তিনি তখন বড় বৈষ্ণব হয়ে গেলেন আর মহাপ্রভুর প্রতি তাঁর বিশ্বাস খুবই দৃঢ় হয়েছিল । আপনারা অনেকই আপনাদের ছেলে-মেয়েকে জামাইকে ভালবাসেন—তাই না ? আপনারা অতিশয় তাঁদেরকে ভালবাসেন কিন্তু যারা সত্যিকারের ভক্ত, তারা আত্মীয়-স্বজনের চাইতে গুরুদেব, মহাপ্রভু ও ভগবানকে বেশী ভালবাসেন । এখানে তার প্রমাণটা হচ্ছে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য । মাঝে মাঝে মহাপ্রভু সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের বাড়িতে প্রসাদ গ্রহণ করতেন—তাঁর জন্য সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের কন্যা ও স্ত্রী সব রান্না করতেন । তাঁর কন্যার নাম ছিল ষাঠী । এক দিন সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের জামাই এসে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে, “বাঃ বাঃ ! এই সাধুটা এত খায় !” মহাপ্রভুর জন্য তাঁরা সুন্দর করে সব কিছু সাজিয়ে দিয়েছিলেন— অনেক গুলো বাটিতে ছাপ্পান্নব্যঞ্জন রেখে দিয়ে গেছেন—আর মহাপ্রভু শুধু একটু একটু নিয়ে আস্বাদন করতেন, তিনি সব খেতেন না । জামাইয়ের কথা শুনে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য লাঠি নিয়ে তাকে এমন তাড়া করেছিলেন ! আর ষাঠীর মাতা বললেন, “ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !” সেটা মানে “জামাইটা মরে যাক ! ও আমার প্রভুর নিন্দা করেছে, তিনি মরে গেলে আমার আপত্তি নেই ।” মহাপ্রভু বলছে, “ছিঃ ! ওকে মারছ কেন ? ও ঠিকই তো বলেছে, সাধু হয়ে এত খাই কেন ? ওকে মারামারি করার, অশান্তি করার দরকার নেই ।” তাই আপনারা বুঝতে পারছেন কি রকম তাঁদের ভগবানের প্রতি ভালবাসা ।
|
অনন্তশ্রীবিভূষিত ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংসকুলচূড়ামণি বিশ্ববরেণ্য জগদ্গুরু শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের পদ্মমুখের হরিকথামৃত
সূচীপত্র
সূচনা : |
||||||
বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥ | |||||||
© Sri Chaitanya Saraswat Math, Nabadwip, West Bengal, India. For any enquiries please visit our contact page. |