আমাদের শ্রীগুরুপরম্পরা :
শ্রীশ্রীল ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিসুন্দর গোবিন্দ দেবগোস্বামী মহারাজ শ্রীশ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধর দেবগোস্বামী মহারাজ ভগবান্ শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
              প্রভুপাদ
“শ্রীচৈতন্য-সারস্বত মঠে সূর্যাস্ত কখনই হয় না” :
আমাদের মঠের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
 
আমাদের সম্পর্কে শ্রীউপদেশ শ্রীগ্রন্থাগার শ্রীগৌড়ীয় পঞ্জিকা ছবি ENGLISH
 

শ্রীপুরীধাম মাহাত্ম্য-মুক্তা-মালা


“ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !”

 

আমরা আগে বলেছিলাম যে, যখন মহাপ্রভু সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যকে উদ্ধার করলেন, তিনি তখন বড় বৈষ্ণব হয়ে গেলেন আর মহাপ্রভুর প্রতি তাঁর বিশ্বাস খুবই দৃঢ় হয়েছিল ।

আপনারা অনেকই আপনাদের ছেলে-মেয়েকে জামাইকে ভালবাসেন—তাই না ? আপনারা অতিশয় তাঁদেরকে ভালবাসেন কিন্তু যারা সত্যিকারের ভক্ত, তারা আত্মীয়-স্বজনের চাইতে গুরুদেব, মহাপ্রভু ও ভগবানকে বেশী ভালবাসেন । এখানে তার প্রমাণটা হচ্ছে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য ।

মাঝে মাঝে মহাপ্রভু সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের বাড়িতে প্রসাদ গ্রহণ করতেন—তাঁর জন্য সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের কন্যা ও স্ত্রী সব রান্না করতেন । তাঁর কন্যার নাম ছিল ষাঠী । এক দিন সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের জামাই এসে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে, “বাঃ বাঃ ! এই সাধুটা এত খায় !”

মহাপ্রভুর জন্য তাঁরা সুন্দর করে সব কিছু সাজিয়ে দিয়েছিলেন— অনেক গুলো বাটিতে ছাপ্পান্নব্যঞ্জন রেখে দিয়ে গেছেন—আর মহাপ্রভু শুধু একটু একটু নিয়ে আস্বাদন করতেন, তিনি সব খেতেন না ।

জামাইয়ের কথা শুনে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য লাঠি নিয়ে তাকে এমন তাড়া করেছিলেন ! আর ষাঠীর মাতা বললেন, “ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !” সেটা মানে “জামাইটা মরে যাক ! ও আমার প্রভুর নিন্দা করেছে, তিনি মরে গেলে আমার আপত্তি নেই ।”

মহাপ্রভু বলছে, “ছিঃ ! ওকে মারছ কেন ? ও ঠিকই তো বলেছে, সাধু হয়ে এত খাই কেন ? ওকে মারামারি করার, অশান্তি করার দরকার নেই ।” তাই আপনারা বুঝতে পারছেন কি রকম তাঁদের ভগবানের প্রতি ভালবাসা ।

 


 

← সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি গঙ্গা মাতা গোস্বামিণী →

 

অনন্তশ্রীবিভূষিত ওঁ বিষ্ণুপাদ পরমহংসকুলচূড়ামণি বিশ্ববরেণ্য জগদ্­গুরু শ্রীশ্রীমদ্ভক্তিনির্ম্মল আচার্য্য মহারাজের পদ্মমুখের হরিকথামৃত


ডাউনলোড


 

সূচীপত্র

সূচনা :
শ্রীজগন্নাথদেব
মহাপ্রভুর ইচ্ছা ও পুরীতে যাত্রার আরম্ভ
মহাপ্রভুর পুরীতে যাত্রা :
শান্তিপুর
রেমুণা
সাক্ষীগোপাল
ভুবনেশ্বর
ভুবনেশ্বর শ্রীলিঙ্গরাজ
আঠারনালা
শ্রীপুরীধামে :
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের সথে মিলন
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের শিক্ষা
কাশী মিশ্রের কথা
রামানন্দ রায়ের পুনর্মিলন ও প্রকৃতি
ভক্তদের সহিত শ্রীক্ষেত্রে বার্ষিক মিলন
রাজা প্রতাপরুদ্রের প্রতি কৃপা
গোবিন্দ প্রভুর শিক্ষা
দর্শনের আর্ত্তি
শ্রীআলালনাথের কথা
কালিদাসের ব্যতিক্রম
সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রসাদে রুচি
“ষাঠী বিধবা হয়ে যাক !”
গঙ্গা মাতা গোস্বামিণী
শ্রীগোপাল গুরুর কথা
শ্রীজগদানন্দ পণ্ডিতের প্রেম
শ্রীলসনাতন গোস্বামীর সঙ্গ
রামচন্দ্র পুরীর কথা
শ্রীপরমানন্দ পুরীর ভক্তিকূপ
দামোদর পণ্ডিতের বিদায়
ছোট হরিদাসের শাস্তি
গুণ্ডিচা-মার্জ্জন লীলা
শ্রীনারায়ণ ছাতায়
চটকপর্ব্বতের কথা
গম্ভীরা—বিরহের জ্বলন্ত ঘর
শ্রীল হরিদাসঠাকুর : নামাচার্য্য শিরোমণি
শ্রীগদাধর পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া
শ্রীরঘুনাথদাস গোস্বামীর শ্রীপুরীধামে আগমন ও ভজন
পরিশেষ

বৃক্ষসম ক্ষমাগুণ করবি সাধন । প্রতিহিংসা ত্যজি আন্যে করবি পালন ॥ জীবন-নির্ব্বাহে আনে উদ্বেগ না দিবে । পর-উপকারে নিজ-সুখ পাসরিবে ॥